প্রতিনিধি 29 August 2025 , 4:16:51 প্রিন্ট সংস্করণ
হোসাইন মাহমুদ শাহীন, সুনামগঞ্জ:
যাদুকাটা নদীর বালু মহাল ইজারা ব্যবসায় বিএনপি নেতা রতন মিয়া কে বৈষম্য বিরোধী মামলায় জড়িয়ে সুবিধা নিতে চাচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র লীগের গণযোগাযোগ সম্পাদক ও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকর্তা ডিবি হারুনের ব্যবসায়ীক পার্টনার শাহ রুবেল আহমদ।
দীর্ঘদিন যাবত জেলার সর্ববৃহৎ বালুমহাল নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হলে বিতর্কিত রুবেল আহমেদ একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা রূপনগর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বিএনপি নেতা রতন মিয়া কে জিম্মি করতে বৈষম্য বিরোধী মামলায় আসামি করে একতরফা সুবিধা নেওয়ার মিশনে নামেন।
সুনামগঞ্জের সদর থানায় রুজুকৃত বৈষম্য বিরোধী যে মামলায় রতন মিয়া কে আসামি করা হয়েছে সে মামলার বাদী আসামিগনের কাউকে চিনেনা বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন দিয়েছেন। কাল্পনিক মামলার প্রায় সকল আসামি ইতোমধ্যে আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র লীগের গণযোগাযোগ সম্পাদক শাহ রুবেল আহমদ উচ্চ পর্যায়ে তদবির করে ঢাকা থেকে রতন মিয়া কে গ্রেফতার করায়। শাহ রুবেল আহমেদের স্বপ্ন অচিরেই যাদুকাটা বালু মহালের আইনি জটিলতা নিরসন হবে তাই মাঠে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চায় না বিধায় কৌশল কাজে লাগিয়ে বড় ধরনের ব্যবসায়ীক সুবিধা ভোগ করতে বিএনপি নেতা রতন মিয়া কে জেলে নেওয়ার ফন্দি আঁটেন।
এ বিষয়ে রতন মিয়ার ভাই কাওসার আহম্মেদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দ্বারা বিগত ১৬ বছর নির্যাতিত। অনেক মামলার হামলার শিকার হয়েছি। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করে আসছি। ১৬ বছর আওয়ামী নির্যাতনের স্বীকার হওয়ার পরও এখন আবার আওয়ামী লীগের কৌশলী মামলার আসামী হয়ে আমার ভাইকে জেলে যেতে হবে তা ভাবতেও অবাক লাগে।
উল্লেখ্য বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত ১২টায় মিরপুর এলাকার বাসভবন থেকে মিরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যাদুকাটা নদী বালি মহাল ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক ইজারাদার রতন মিয়াকে গ্রেফতার করে ঢাকার মিরপুর শাহ আলী থানা পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত ১২টায় মিরপুর এলাকার বাসভবন থেকে মিরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইজারাদার রতন মিয়াকে গত বছরের ৪ঠা আগস্ট সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জের আদালতে দায়েরকৃত দ্রতবিচার আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মিরপুর শাহ আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম আজম।
এদিকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় এফআইআরকৃত মামলার আসামী রতন মিয়ার গ্রেফতারের সংবাদে বুধবার রাতেই সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আরিফ উল্লাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢাকার উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জ ত্যাগ করেছে বলে নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম।
অন্যদিকে ইজারাদার রতন মিয়ার গ্রেফতারের সংবাদে তার পক্ষে বিপক্ষে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জে। একপক্ষ বলছেন যে মামলায় তিনি আটক হলেন সেই মামলায় বর্ণিত অপরাধের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আরেক পক্ষ বলছেন, ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিপক্ষের বলির পাঠা হয়েছেন এই ব্যবসায়ী।