মোঃ ইসমাইল হোসেন নাচোল প্রতিনিধি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। নতুন ভবন পেয়েও কাটেনি চিকিৎসা সংকট, কমেনি রোগীদের ভোগান্তি। নেই লিফট এর ব্যবস্থা, মারাত্মকভাবে অসুস্থ রোগীদের সিড়ি বেয়ে উঠতে তিন তলা ও চারতলা ওয়ার্ডে রোগীদের ভর্তি হতে হয়। এমনকি তিন তলা ও চারতলা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি থাকলেও নার্সরা দুটি স্টেশনের জায়গা তিনতলায় দুটি স্থানে অবস্থান করেন বলে রোগীদের ভোগান্তি বেড়ে যায়। এদিকে ভবনের নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার বিল্ডিং এর ছাদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বৈদ্যুতিক ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে ট্যাপলাইন,বেসিন,বৈদ্যুতিক সুইচসহ জটিলতার ইতোমধ্যে নতুন ভবনে দেখা দিয়েছে।তেরো জনের বরাদ্দ ডাক্তার থাকলেও দুইজন মেডিকেল অফিসার সহ একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার এ তিনজনে চলে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা। অন্যদিকে ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া সহ মৌসুমী বিভিন্ন জ্বরের প্রকোপ। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের এমন বর্তমানে ১১০ রুগিসহ বারান্দায় যত্রতত্র চিকিৎসা নিচ্ছ রোগীরা। ভোলা মোড়ের সেলিনা জানান, ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাসপাতলে ২৩ নাম্বার বেডে ভর্তি থাকা আয়েশা জানান, অন্যান্য রোগীদের ভিড়ের কারণে হাসপাতলে ডাক্তারদের দেখা খুবই কম মেলে, সহকারি ডাক্তার দিয়ে চল চিকিৎসা সেবা এবং মেডিকেলের কিছু কিছু নার্সরা খুবই খারাপ আচরণ করে। লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা নিজামপুর ইউনিয়নের মহিলা রোগী জামিলা জানান,তিন তলাতে উঠতে আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। তারপর বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো হাসপাতাল অন্ধকার থাকে,নেই জেনারেটরের ব্যবস্থা। এ ভবনে এনালগ এক্সরে মেশিন থাকলেও ভালো করে কাজ করে না, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও মেয়ে ডাক্তার, নেই জুনিয়র মেকানিক। পারেশন থিয়েটার থাকলেও নেই সার্জিক্যাল ডাক্তার কিংবা এনেস্থিসিয়া স্পেশালিষ্ট। একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলে গত বছরের তেল খরচ সহ অন্যান্য খরচ বাকি, সাথে বারিক ড্রাইভার এর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাসপাতালে কর্মচারী বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে বহিরাগত লোক ওয়ার্ডে ভাড়া দিয়ে দিনের পর দিন অবস্থান করেন। এমনকি হাসপাতলে বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে বছরের পর বছর বিজলী নামে এক নারী হাসপাতালের বিদ্যুৎ সুবিধা সহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। তবে অভিযুক্ত নারীকে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। লিফ ব্যবস্থাপনা সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাবুদ্দিন জানান, চিকিৎসা সংকট ও অন্যান্য চাহিদা নিয়ে উপর মহলের কাছে দেওয়া আছে। তিনি বিল্ডিং এর ব্যপারে জানান লিফটের আমাদের বিভাগীয় স্বাস্থ্য প্রকাশ হোলীর নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 100 শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ শেষ হলেও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল বিশেষ করে নাচোল ও গোমস্তাপুরে লিফটের ব্যবস্থা করা হবে। অসুবিধা সংকট নিয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সামাদ জানান, ইচ্ছাশক্তি থাকলেও শুধুমাত্র চিকিৎসক সংকটের কারণে ভালোভাবে চিকিৎসা দিতে পারছিনা। তাছাড়া জ্বরের প্রকোপ বাড়ায় তিনজন ডাক্তার ও চারজন এস এস এম ও সেকমো ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করতে হিমশিম খাচ্ছে এছাড়া আউটডোরে ২৩ প্রকার ওষুধ ও ইন্ডোরে ২০ রকমের ঔষধ রোগীদের আমরা দিতে পারছি তবে কর্ম বর্ধমান রোগীর জন্য যথেষ্ট নয়। অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার এর বেশি ভাড়া আদায় ও বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহারকারী বিজলী প্রসঙ্গে জানান অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার
করাই আমরা বিষয়ে অবগত হয়েছিও এ ব্যাপারে উদ্বোধন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে পরে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।