জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিদায়ী সংবাদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত । যিনি মানবিক ওসি হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি পেয়েছেন। জনবান্ধব ওসি হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন।
খোদ তার ব্যাচমেটরাও এমনটি বলেছেন। বিদায়ী ইনচার্জ (ওসি) মো আনোয়ার হোসেন ক্ষেতলাল থানায় ১৬ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। সুনামের সহিত ও দক্ষতার সহিত তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিশেষ করে ক্ষেতলালের সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের একধরনের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছেন তিনি। আমরা যখনই পেশাদার দায়িত্ব পালনকালে তথ্যের জন্য মোবাইল করেছি কিংবা হোয়ারসর্পে ম্যানেজ দিয়েছি সাথে সাথে ব্যাক করে তথ্য দিয়েছেন অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকলে পরে মোবাইল দিয়ে জানতে চেয়েছেন কি জন্য ফোন করেছি। কখনও রাগ হতে দেখেনি।
সর্বদা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিলে শত কাজের মধ্যেও উপস্থিত থাকার চেস্টা করেছেন,সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার সময়কালে ক্ষেতলাল থানা জনগনের জন্য দ্বার উম্মোচন করেছেন তিনি । কেউ কোন অভিযোগ কিংবা জিডি করতে গেলে নিরাশ হননি ,আইনের মধ্যে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় তা তিনি করেছেন ।
পুলিশ যে জনগনের বন্ধু কিংবা সেবক যেটা তার কাজের মাধ্যমে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন। ১৬ মাসের দায়িত্ব পালনকালে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন জেলা পুলিশের মাসিক কল্যান সভায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।
তার বদলীর আদেশ আসে ক্ষেতলাল থানায়। এ খবর নিশ্চিত হবার সাথে সাথে ক্ষেতলালের সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ জনগনের মাঝে যেন হতাশার ছাপ পড়েছে। মন থেকে কেউ তাকে ছাড়তে চায়নি । গত কয়েক দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিদায়ী ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেনের বদলী নিয়ে জনপ্রতিনিধি সাংবাদিক,সুধীজন আবেগঘন স্টাস্ট্যার্স দিয়েছেন।
সবাই ওসি আনোয়ার হোসেনকে মানবিক ওসি ও একজন ভালো দক্ষ পুলিশ অফিসার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ।
থানা ভবনের প্রাঙ্গণে কথা হয় সাংবাদিক হাসানের সঙ্গে। তিনি জালালেন, ক্ষেতলাল থানায় যোগদানের পর গত ১৬ মাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল খুবই ভালো।
একজন মানবিক ওসি হিসেবে আনোয়ার হোসেন ক্ষেতলালের সর্বমহলে পরিচিত ছিলেন। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এ কথাটি আনোয়ার হোসেন প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁর সততা, উদারতা আর বলিষ্ঠ দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে।
শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, ওসি আনোয়ার হোসেন দায়িত্ব পালনকালে ক্ষেতলাল থানা দালালমুক্ত ছিল। জনগণের সঙ্গে সরাসরি তিনি সম্পৃক্ত হয়ে পুলিশ—জনতার সেতুবন্ধন গড়ে তুলেন।
যদিও সরকারি চাকুরী কর্মস্থল পরিবর্তন ,বদলী একটি রুটিন কাজের অংশ। ২ অক্টোবর বিকেলে ক্ষেতলাল থানা ক্যাম্পাস থেকে বিদায় বেলা কেউ যেন তাকে ছাড়তে চাইনি। তার নিজ কর্মস্থলে বিদায়কালে তিনি নিজের কেঁদেছেন এবং সকলকে কাঁদিয়ে বিদায় নিয়েছেন।
তার বডিগার্ডদের যেন কাঁন্না থামছেই না৷
ক্ষেতলাল থানার প্রায় অফিসার কেঁদেছেন বিদায়কালে । আমি মনে করি এটাও তার জন্য বড় সম্মানের। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিদায়কালে শুভ কামনা জানানো হয়েছে৷ যেখানে থাকবেন মানবিক ওসি হিসেবে জনগনের সেবা করবেন এমনই আশা।
ক্ষেতলাল থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মশিউর রহমান, যোগ দিয়েছেন নতুন যিনি দায়িত্ব গ্রহন করবেন তার নিকটও প্রত্যাশা থাকবে এমনটাই।