প্রতিনিধি 11 September 2025 , 11:21:18 প্রিন্ট সংস্করণ
sajjad hossain
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বামপন্থী শিক্ষার্থীদের সমর্থিত প্যানেল সম্প্রীতির ঐক্য ফোরামের প্রার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তাঁরা।
এ সময় সম্প্রীতির ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শরণ এহসান বলেন, ‘গতকাল( বুধবার) রাত দুইটার পর জানানো হয়েছিল, প্রার্থীরা কেন্দ্রগুলোতে পোলিং এজেন্ট রাখতে পারবে। কিন্তু আজকে সকালে যখন পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে গেছে, তখন তাদের নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। নির্বাচনে অনিয়মের শুরু হয়েছে ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিলের মধ্য দিয়ে। আজকে কয়েকটি হলে আমাদের প্যানেলের পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন বলেছে তাদের ওপর আস্থা রাখতে। কিন্তু এই সময়কালে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান ছিল। প্রশাসনের এহেন আচরণ ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
অভিযোগ করে শরণ বলেন, ‘কেন্দ্রগুলোতে ছাত্রশিবিরের সমর্থিত প্রার্থীরা বিভিন্ন চিরকুট লিখে ভোটারদের হাতে দিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে আমরা মনে করছি, নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না।’
ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদলও। বিকেলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
এই নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকেই অনিয়ম হয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি শরণ এহসান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নানা ধরনের অস্বচ্ছতা, অনিয়ম লক্ষ করে আসছি। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে নানা সময়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কিন্তু কমিশন তার কোনো সুরাহা করেনি। ৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করার কথা ছিল। আমরা জেনেছি, অনেক প্রার্থী সেই টেস্ট করেনি। ডোপ টেস্টের ফলাফল নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি। এই সবকিছুতে নির্বাচন কমিশন আস্থা হারিয়েছে।’