আসাদুজ্জামান রিফাত, নোয়াখালী
আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল প্রতীক্ষিত ভর্তি পরীক্ষা। নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে জেলার ৭টি কেন্দ্রজুড়ে। এসব কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে হেল্প ডেস্ক, যেখানে পরীক্ষার্থীরা পেতে পারেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা। এছাড়াও তাদের জন্য বিনামূল্যে কলম, বিশুদ্ধ পানি, মোবাইল ও ব্যাগ রাখার নিরাপদ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পরীক্ষার দিন অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ছাউনি স্থাপন করেছে সংগঠনটি, যাতে তারা অপেক্ষার সময়টুকু স্বস্তিতে কাটাতে পারেন।এই কেন্দ্রগুলো হলো:নোয়াখালী সরকারি কলেজ,নোয়াখালী জিলা স্কুল,মাইজদী বালিকা বিদ্যানিকেতন, অরুণ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়,এখলাশপুর মাদ্রাসা,এখলাশপুর উচ্চবিদ্যালয়,মাইজদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী সরকারি কলেজ সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম জানান,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধীনে মোট ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে আমরা হেল্প ডেস্ক স্থাপন করি। হেল্প ডেস্ক থেকে পরীক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পানি, স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্য ছিল বসার আলাদা ব্যবস্থা—‘অভিভাবক ছাউনি’। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও আমরা সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছি, যেন পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে কোনো সমস্যা না হয়।
তিনি আরো বলেন"পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমানো এবং স্বস্তিদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগরদের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।"
পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষমাণ এক অভিভাবক বলেন,
ছাউনির ব্যবস্থা না থাকলে আমাদের অনেক কষ্ট হতো। ছায়ায় বসে থাকার সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই স্বস্তি পেয়েছি। ছেলেমেয়েদের পাশে থাকার এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।"
এক পরীক্ষার্থী জানান,পরীক্ষার দিনটা সবসময় একটু চাপের হয়। কিন্তু কেন্দ্রে এসে দেখি ছাত্রশিবিরের ভাইয়েরা হেল্প ডেস্ক চালু করেছে, কলম ও বিশুদ্ধ পানি দিচ্ছে। এতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে, স্বস্তিতেই পরীক্ষায় বসতে পেরেছি।"
ছাত্রশিবিরের এ ধরনের মানবিক ও শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগ শুধু পরীক্ষার্থীদের নয়, তাদের পরিবারকেও দিয়েছে মানসিক প্রশান্তি। নোয়াখালীতে এমন উদ্যোগ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ছাত্র সংগঠনগুলোর জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।