প্রতিনিধি 2 July 2025 , 3:59:23 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন যা ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনের সময় গঠিত হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে, যার ফলস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হয়।
সংগঠনটি ২০২৪ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ৮ জুলাই একটি ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনটির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ৩ আগস্ট, সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ১৫৮ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক দল গঠন করে, যার মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেতা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম, ইংরেজি বিভাগের হাসনাত আবদুল্লাহ, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের আসিফ মাহমুদ, ভূগোল বিভাগের আবু বাকের মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের খান তালাত মাহমুদ রাফি, এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল।
২০২৪ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ গঠন করে এবং চার দফা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করে। ২ থেকে ৬ জুলাই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, এবং মহাসড়ক অবরোধ অনুষ্ঠিত হয়। ৭ জুলাই ঢাকায় গণপরিবহন বন্ধ করে এবং রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে দেশব্যাপী কর্মসূচি চালু হয়। রাজধানীতে এই সময় শুধু মেট্রো রেল চলাচল করছিল।
আন্দোলনের ক্রমবিকাশ
১৪ জুলাই শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের “রাজাকারের নাতি-পুতি” বলে আখ্যায়িত করেন, যার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান তোলে: “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার।”
১৯ জুলাই সর্বাত্মক অবরোধ চলাকালীন নাহিদ ইসলামসহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে সরকারের তিনজন প্রতিনিধির সঙ্গে আন্দোলনের তিনজন প্রতিনিধির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আট দফা দাবি উত্থাপিত হয়। তবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় এবং ২১ জুলাই আন্দোলনের একটি পক্ষ নয় দফা দাবি জানিয়ে শাটডাউন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
আন্দোলনের বিস্তৃতি ও সংঘর্ষ
২৬ জুলাই নাহিদ ইসলামসহ তিনজন সমন্বয়ককে হাসপাতালে সাদা পোশাকের ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে যায়। এরপর ২৭ জুলাই আরও দুইজন সমন্বয়ককে গোয়েন্দা শাখা হেফাজতে নেয়। ২৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা আটক নেতাদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়। এই সময় শিক্ষার্থীরা দেয়াল লিখন, গ্রাফিতি এবং মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে।
চূড়ান্ত পর্যায়
৩ আগস্ট থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়, যার মধ্যে ট্যাক্স প্রদান বন্ধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল পরিশোধ স্থগিত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, এবং অফিস আদালত বর্জনের আহ্বান জানানো হয়। আন্দোলনকারীরা সরকারের পদত্যাগের এক দফা
এই তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিটি জেলা উপজেলাসহ সারাদেশে মাগুরার প্রতিটি উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অনুষ্ঠিত হবে।
৩ আগস্ট রাতে এ তথ্য দেখা যায় বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে এবং ৪ ই আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়।
মহম্মদপুর উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ৪ ই আগষ্ট মোহাম্মদপুর উপজেলার সাধারণ ছাত্র ছাত্রী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত হয়। ৪ ই আগস্ট সকাল ১০ ঘটিকায় তারা অবস্থান করে উপজেলার আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে।
এ তথ্য পেয়ে আমাদের টিম তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে এবং নিউজ কাভার করতে অবগত থাকে। এবং সকালে ১০ টায় আসার কথা থাকলেও মূলত আন্দোলন শুরু হয় ১১ টা থেকে, যখন আমিনুর রহমান কলেজের দক্ষিণ পাসে ছাত্র জনতা জড়ো হয় কখন পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়
এ সময় মাগুরা এসপি সার্কেল কথা বলেন তাদের শান্তি পূর্ন ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেন তিনি আরো বলেছিলেন আমরা সবাই ভাই ভাই আমরা কখনই চাইনা কারে ক্ষতি হোক ।
তখন আরেকটি মিছিল কলেজের মূল গেটের সামনে দিয়ে আসে।
পুলিশ তাদের সামনের দিকে আগাতে বাধা দেয়
এবং পুলিশের সাথে বেশ তর্ক বিতর্ক ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া তার মধ্যেই পুলিশ গুলি ছুটতে শুরু করে।
সেই গুলিতে মোঃ সুমন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয় তখন সে ঘটনাস্থানে মৃত্যুবরণ করে।
এই সংবাদ পেয়ে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। তখন সাধারণ ছাত্র জনতা উপজেলা ঘেরাও করে এবং আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে তারপর আস্তে আস্তে ধাপিত হয় মোহম্মদপুর থানার দিকে এবং থানা ঘেরাও করে ছাত্র জনতা। এ সময় পুলিশ আবারও এলোপাতাড়ি গুলি ছুটতে শুরু করে।
ছাত্ররা থানা ঘেরও করতে গেলে তখন….
পুলিশের চাইজ রাইফেল থেকে আসা গুলিতে মৃত্যু বরন করেন
মোঃ আহাদ নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাকে মৃত নিশ্চিত করে থানা থেকে পারিবারিক মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরেকটি ছেলে একই উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের দীঘা গ্রামে তারও পাজড়ের হাড় ভেত করে গুলি ঢুকে শরীরে তখন কিছু ছাত্ররা তাকে নিয়ে মহম্মদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে তার অবস্থার অবনতি এবং সে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয় তারপর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া হয় তার বয়স ১৩/১৪ হবে সে এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে আছে
মহম্মদপুরের ৪ আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কঠিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে আমাদের টিম নিউজগুলো কাভার করতে সক্ষম হয় এবং তা মিডিয়াতে তুলে ধরে। এবং বেশিরভাগ সময় ফেইসবুক লাইভে দেখিয়েছি, আমি সহ আমার সহকারী ইটের অঘাত খেয়ে আহত হয়।