মোঃ ইকরামুল হোসেন

ক্রাইম রিপোর্টার

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার ৭ নং পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নে এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে ঝামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয় আজ ২০ ফেব্রুয়ারি 2025 রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়, ঝামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য ছুটে আসে দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য যুবক বৃদ্ধ নানা শ্রেণীর লোকজন, অনুষ্ঠানের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই চলছিল তবে অনুষ্ঠান চলা কালিন সময়ে স্থানীয় দুই গ্রামের যুবসমাজের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে একে অপরের গায়ে হাত তোলে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ওই দুই গ্রামের ঝামা এবং চরঝামা গ্রামের অসংখ্য মানুষ নিজ নিজ গ্রামের পক্ষ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে একে অপরের উপর, জানাযায় জামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তী সময়ে এ ঘটনা ঘটে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত আমন্ত্রিত মেহমানবৃন্দ সহ মহম্মদপুর থানা পুলিশ, দুপক্ষের মাঝে যখন ইট পাটকেল ছুড়াছুড়ি ও বিভিন্ন লাঠিশুটা সহ লাঠির আঘাত শুরু হয় তখন সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থানে ছুটে আসে মহম্মদপুর থানা পুলিশ এসআই হাফিজুর রহমান এ এস আই সোহাগ মিলন এবং ইনচার্জ অফিসার আব্দুর রহমান সহ কনস্টেবল ফোর্স এই সংঘর্ষ থামাতে নিয়োজিত হন এক পর্যায়ে তারা দুপক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন ঘটনা স্থানে গিয়ে জানা যায় অনুষ্টান থেকে কিছু সময় পর তিনজন যুবক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল তাদের ফেরার পথে বিপক্ষের কিছু লোক তাদের ওপর আতঙ্কিতভাবে হামলা করে তাদেরকে হাতুড়িসহ বিভিন্ন লাঠি দিয়ে আঘাত করে একপর্যায়ে তারা জ্ঞান হারায় উক্ত ঘটনা আশপাশের মানুষ দেখে ছুটে আসে মানুষের ছুটে আসা দেখে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় আহত তিন যুবককে চিকিৎসার জন্য সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদেরকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয় , আহত তিন যুবক মোঃ সাব্বির হোসেন মোঃ ওমর মিয়া এবং মোঃ আমিনুল ইসলাম

আহত যুবকদের জ্ঞান ফেরার পর তারা জানাই আমাদের উপর যারা হামলা করেছে আমরা তাদের প্রত্যেককেই চিনি আমরা পুলিশ প্রশাসনের নিকট তাদের কঠিন শাস্তির দাবী জানাচ্ছি