জি এম ফিরোজ উদ্দিন
বোম্বাই মরিচ মূলত প্রচণ্ড ঝালের কারণে সর্বাধিক পরিচিত। সবার প্রিয়ও বলা চলে। একটু চেষ্টা করলেই ফলাতে পারবেন বোম্বাই মরিচ। বাসার ছাদে, বারান্দায়, ভবনের চারপাশে টবে বোম্বাই মরিচের ফলন ভালো হয়। তাই আজ থেকেই চেষ্টা করে দেখুন। চাষের নিয়ম-কানুন জেনে নিন এখনই-
বীজ বা চারা:
যেকোনো বাজারে বীজ কিনতে পাওয়া যায়। তবে নতুনদের জন্য চারা কেনাই ভালো। নার্সারি, হর্টিকালচার সেন্টার বা গ্রামের হাট-বাজার থেকেও বোম্বাই মরিচের চারা কেনা যায়। তবে জাত ও চারার মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া বীজ থেকেও চারা উৎপাদন করে রোপণ করা যায়।
চাষের নিয়ম:
প্রতিটি চারা টবে লাগানোর আগে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। প্রতিটি ১০ ইঞ্চি টবের জন্য ১/৩ গোবর (২ ভাগ মাটি, ১ ভাগ গোবর), ২ চিমটি টিএসপি, ১ চিমটি ইউরিয়া, ১ চিমটি পটাশ সার, অল্প পরিমাণ সরিষার খৈল দিয়ে ৪-৫ দিন মাটি রোদে শুকাতে হবে। তারপর এ মাটিতে চারা লাগাতে হবে। চারা যদি সবল না হয় তাহলে দিনে ২-৩ বার ইউরিয়া মিশ্রিত পানি স্প্রে করলে চারা সবল হয়ে যাবে।
সপ্তাহে ১ দিন মাটি খুঁচিয়ে আলগা করে দিতে হবে। আগাছা দেখা দিলে সরিয়ে দিতে হবে। চারা লাগানোর ২০-২৫ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসবে। আর সেই ফুল থেকে আস্তে আস্তে ধরতে শুরু করবে আপনাদের প্রিয় বোম্বাই/নাগা মরিচ। মরিচ যত বেশি দিন গাছে থাকবে তত ঝাল হবে।
খুব নিচের শাখাগুলো কেটে/ভেঙে ফেলতে হবে। এমনটি না করলে গাছের জোর কমে যাবে, মরিচের আকার হবে ছোট। গাছ কড়া রোদে রাখতে হবে, ছায়ায় থাকলে মরিচ ধরবে না। ১টা মরিচ গাছ অনেক দিন ফল দেবে। আর ১টা গাছে যে পরিমাণ মরিচ ধরে তা খেয়েই শেষ করা কঠিন।
পোকা দমন:
মরিচ গাছে পোকা আক্রমণ করতে পারে। তবে ২-৪ টা গাছ হলে পোকা-মাকড় হাতেই মেরে দমন করা যায়। গাছ বেশি হলে কীটনাশক ব্যবহার করা যায়। তবে শাক-সবজিতে কীটনাশক ব্যবহার না করাই ভালো।
ফলন:
মরিচ যত বেশি দিন গাছে থাকবে; তত বেশি ঝাল হবে। নিচের শাখাগুলো কেটে ফেলতে হবে। না হলে মরিচের আকার হবে ছোট। গাছ কড়া রোদে রাখতে হবে, ছায়ায় থাকলে মরিচ ধরবে না। ১টি গাছ অনেক দিন ফল দেবে।
ফেসবুক থেকে সংগ্রহ