নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২০১৪ সালে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর তাসকিন আহমেদ সবচেয়ে সফল বছর কাটিয়েছেন ২০২৪ সালে। ১০ বছর ধরে খেললেও গত বছরই পেয়েছেন ক্যারিয়ারের এক চতুর্থাংশের বেশি উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই তুখোড় ফর্ম বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলেও নিয়ে এলেন এই ডানহাতি পেসার।
আজ বৃহস্পতিবার বিপিএলের পঞ্চম ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেরই তৃতীয় সেরা বোলিং এটি।
৭ উইকেটের মধ্যে ৩টি তাসকিন নেন শেষ ওভারে। দ্বিতীয় বলে আলাউদ্দিন বাবুকে আউট করার পরের বলেই ফিরিয়ে দেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধকে। চতুর্থ বলে নাজমুল ইসলাম এক রান নিয়ে হ্যাটট্রিক করতে না দিলেও পঞ্চম বলে উইকেট দিয়ে বসেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন খেলোয়াড় শুভম রঞ্জন। শেষ বলে মোস্তাফিজুর রহমানকে আউট করতে পারলে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়তেন তাসকিন। তবে এক রান নিয়ে সেটি হতে দেননি দ্য ফিজ। ১৭তম ওভারে শাহাদাত হোসেন দীপু আর চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে আউট করেন তাসকিন। আর প্রথম দুই উইকেট পান দ্বিতীয় ও চতুর্থ ওভারে। ফেরান ঢাকার দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমকে।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং মালয়েশিয়ান পেসার সিয়াসজুরল ইদরুসের। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন মালয়েশিয়ার এই পেসার পেসার। তিনি ভাঙেন নেদারল্যান্ডসের কলিন আকারম্যানের রেকর্ড। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ভাইটালিটি ব্ল্যাস্ট টি-টোয়েন্টিতে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন ডাচ অফ স্পিনার। লেস্টারশায়ারের হয়ে বার্মিংহাম বিয়ার্সের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও অবধারিতভাবেই তাসকিনের বোলিং বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার।
বিপিএলেও তাসকিনের আজকের বোলিং ইতিহাসের সেরা। তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমিরকে। ২০২০ সালে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তৎকালীন দল রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের হয়ে ১৭ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আমির।
তাসকিনও সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করলেন আজকে। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এই পেসারের সেরা বোলিং ছিল ৩১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট। আর সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে আগের সেরা বোলিং ছিল ৬৪ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট। টেস্টে এই রেকর্ড করেছিলেন তাসকিন।