অপরাধ

টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া-মোচনী সীমান্তে পৃথক অভিযানে সাড়ে ৪লাখ ইয়াবা উদ্ধার।

  প্রতিনিধি 22 January 2025 , 10:35:17 প্রিন্ট সংস্করণ

 

জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি

কক্সবাজার টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি), নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদক পাচার এবং চোরাচালান রোধকল্পে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, সীমান্তে কার্যকরী টহল পরিচালনা এবং নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে বিগত কয়েক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক আসামী গ্রেফতার করে থানায় সোর্পদ করা সম্ভব হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে গোপন সংবাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, মায়ানমার হতে একদল মাদক পাচারকারী ২ বিজিবির অধীনস্থ লেদা বিওপির আওতাভূক্ত বিআরএম-১১ হতে প্রায় ০১ কিঃ মিঃ দক্ষিণ দিকে মেম্বার পোস্ট নামক এলাকা দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাচার করবে। নোয়াপাড়া বিএসপিতে স্থাপিত FURUNO RADAR এর মাধ্যমে সীমান্তে গতিবিধি পর্যালোচনার মাধ্যমে অধিনায়ক, ২ বিজিবি এর তত্ত্বাবধানে ব্যাটালিয়ন সদর এবং লেদা বিওপি হতে পৃথক দুটি দল মেম্বার পোস্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় নাফ নদীর পাড়ে অবস্থানরত মাদক পাচারে লিপ্ত দলটি পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এ সময়, মাদক পাচারকারী দলের কয়েকজন সদস্য দুইটি বস্তা ফেলে নদী সাঁতরে সীমান্তের অপর পার্শ্বে পালিয়ে যায় এবং আরোও কিছু ব্যক্তি কয়েকটি বস্তা নিয়ে আলিখালের দিকে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। অভিযানরত বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করলে অপর দলটি রাতের আধাঁরের সুযোগে খরেরদ্বীপ হয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যেতে সমর্থ হলেও তাদের বহনকৃত বস্তাগুলো বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে রেখে যায়। এ সময় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানরত দলগুলো অদ্য ২২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত ০১৩০ ঘটিকা পর্যন্ত সম্পূর্ণ এলাকা তল্লাশী করে বিভিন্ন বস্তায় বিশেষভাবে প্যাকেটজাত সর্বমোট ৪,৫০,০০০ (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য যে, অভিযান চলাকালে মাদক বহণের সাথে বাংলাদেশী কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলেও জড়িত ব্যক্তিদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ