প্রতিনিধি 15 October 2024 , 1:21:48 প্রিন্ট সংস্করণ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মাজিদা বেগম (৬০) নামে এক ইউপি সদস্যকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাজিদা বেগম ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য। ঘটনার পর থেকে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আব্দুল মাজেদ, তার দুই ছেলে মনিরুল ও আনারুল এবং ছোট ভাই মানা গাজীর বিরুদ্ধে।
মাজিদা বেগমের নাতি নাসরুল্লাহ নয়ন বলেন, ‘গতকাল সকাল ১১টার দিকে বাইরে থেকে এসে প্রতিবেশী হাসিনা বেগমের বাড়ির বারান্দায় বসেছিল দাদি। এ সময় মানা গাজি ও মনিরুল সেখানে এসে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে তাঁকে রাস্তায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে আনারুল ও তার বাবা আব্দুল মাজেদ যোগ দিয়ে চারজন মিলে আমার দাদিকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দাদির বমি শুরু হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।’
সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাকির হোসেন জানান, মাজেদা বেগমের বমি হচ্ছে। অবস্থা অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
চিকিৎসাধীন মাজিদা বেগম বলেন, ‘৬-৭ মাস আগে যশোরের এক মেয়েকে তার পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করে আনারুল। এ নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। আমি মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করি এবং বিষয়টি মীমাংসা করি। কিছুদিন ধরে মেয়েটির বাবা অসুস্থ। এ জন্য তার পরিবারের লোকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, আনারুল যেন তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরকে একবার দেখে যায়। আমি বিষয়টি আনারুল ও তার পরিবারকে জানাই। এতে আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয় তারা। এর জেরে আমাকে মারধর করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে মানা গাজী বলেন, ‘উনি (মাজিদা বেগম) আমাদের চাচি হন। তাকে মারধর করা হয়নি। সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।’
শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।