অন্যান্য

ঠাকুরগাঁও এসএসসি ৯৯ ব্যাচের রজত জয়ন্তী

  প্রতিনিধি 28 December 2024 , 6:30:29 প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁও:

 

‘ছড়িয়ে থেকেও জড়িয়ে আছি’স্লোগান সামনে রেখে দিনব্যাপী নানা আয়োজন ও কৈশোরের স্মৃতিচারণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরগাঁও এসএসসি-৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ২৫ বছর পূর্তি উৎসব। দীর্ঘদিন পর স্কুলের সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তারা। পুরনো বন্ধুদের দেখা পেয়ে কেউ কেউ স্মরণ করছিলেন ফেলে আসা দিনের কথা, আবার কেউবা পুরো স্কুল জীবনের গল্প জুড়ে আড্ডা মেটে ওঠেন কে কতখানি বদলেছে সে নিয়ে। আবার কেউ বা হাস্যরসে মাতলেন স্কুল জীবনের বন্ধুর পরিবর্তন দেখে।

 

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়। আনন্দ উৎসবের এ আয়োজনে সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন তাদের স্ত্রী-সন্তানরাও।

 

১৯৯৯ সালে জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করা সাবেক শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নানা পেশায় কর্মরত দেশের বিভিন্ন স্থানে। রজত জয়ন্তী উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে যোগ দিতে এদিন সকাল ৮টা থেকে স্কুল প্রাঙ্গণে আসা শুরু করেন। সবাইকে দুই যুগ পর একসঙ্গে পেয়ে যেন কর্ম-জীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল প্রাণের সহপাঠীদের।

 

পুরোনো স্মৃতিকে নতুন করে ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে ছিল অনেক কসরত। মধুর মিলনে সতীর্থরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন তৈরি করেন। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই একই মিশেলে মিলিত হন।

 

ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে কৈশোরের পরিচিত মুখগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করেন সকাল ১০টায়। সহপাঠিদের হাতে হাত রেখে শুরু হওয়া মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসে স্কুল প্রাঙ্গণে। ব্যস্ত কর্ম-জীবনের ক্লান্তি ভুলে কৈশোরের বন্ধুদের সঙ্গে নতুন করে কাটানো সময় নেচে গেয়ে ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে সবাই ছিলেন ব্যস্ত।

 

স্কুল জীবনের গণ্ডি পার হওয়ার পর হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও স্মৃতিচারণে কাটে রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব।

 

দুপুর ২ টার পর মধ্যাহ্নভোজের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল বৈচিত্র্যময়। সকালে নাস্তা আর দুপুরের খাবার ছিল উল্লেখযোগ্য।

 

দিনের শেষভাগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গান পরিবেশ করেন ঢাকা থেকে আগত শিল্পীরা।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ