Sajjad Hossain
গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ঐক্যের চিন্তা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে মাহিন সরকার বলেন, ‘আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করার জন্য করার দায়িত্ব সবার রয়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয়, সব জায়গায় গণ–অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন।’
মাহিন সরকার আরও বলেন, ‘যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে পারে, তাহলে যে কারও চেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁরা বেশি দায়বদ্ধতা অনুভব করবেন। আবু বাকের মজুমদার গণ-অভ্যুত্থানের একজন অগ্রসেনানী। তিনি যদি জিএস পদে নির্বাচিত হতে পারেন, সেটি আমার বিজয় বলে সূচিত হবে। আমার সমর্থন আমি আবু বাকের মজুমদারের প্রতি ব্যক্ত করছি।’মাহিন সরকারের সঙ্গে ২০২৪ সালের ৬ জুন আমার পরিচয় হয়। তিনি বলেছিলেন, যেকোনো মূল্যে আন্দোলন সফল করতে হবে। প্রয়োজনে ঈদে আমি বাড়ি যাব না। সেখান থেকে তাঁর সঙ্গে আমার যাত্রা শুরু। অনেকেই চেয়েছেন আমরা যেন একসঙ্গে চলি। একসঙ্গে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার এ কথা বলেন। আরেক প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার সমর্থন দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন জানান। তিনি বাকেরের হাত তুলে ধরে তাঁর প্রতি সমর্থন জানান। নিজের সমর্থকদের তাঁকে ভোট দিতে আহ্বান জানান।বাকেরের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মাহিন সরকার আরও বলেন, ‘আবু বাকের মজুমদারকে আপনারা জিএস পদে নির্বাচিত করুন। তাঁর বিজয় আমার বিজয়। যেহেতু এখন প্রার্থী তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তাই প্রার্থীদের তালিকায় আমার নাম থাকবে। তবে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাকেরকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করছি।’
পরে মাহিন সরকারকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করে আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সময় তিনি (মাহিন সরকার) হলপাড়ার শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে কঠিন সময়ে তিনি আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’ তাঁরা একসঙ্গে চলতে চান বলে জানান তিনি।মাহিন সরকারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব ছিলেন। মাহিন সরকারের নেতৃত্বে সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ নামের পৃথক প্যানেল হয় ডাকসুতে।
দলের ‘অনুমতি না নিয়ে’ ডাকসুতে প্যানেল দেওয়ার ঘটনায় তাঁকে বহিষ্কার করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এরপরও মাহিনের প্যানেল থেকে সদস্যপদে নির্বাচন করছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা সাব্বির উদ্দিন ও বায়েজিদ হাসান।
অবশ্য গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের দুজন নেতা জানান, মাহিন সরকারের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছিল। কিন্তু তিনি শীর্ষ একটি পদে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন। পরে তিনি আলাদা প্যানেল ঘোষণা করেন