প্রতিনিধি 20 November 2024 , 1:20:56 প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ জীবন শেখ, জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বসতবাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে ছানোয়ারা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে রাজকে (৮) হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহানী পূশণ এ রায় দেন। আদালতের বেঞ্জ সহকারী অরুপ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে আলী আকবর, একই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে লালচাঁদ মণ্ডল ও একই উপজেলার জোয়াদ্দারপাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা।
৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
অটোরিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত, জাহাঙ্গীরনগরে ব্লকেড কর্মসূচি
‘গণহত্যার সুপ্রিম কমান্ডার ছিলেন পুলিশ প্রধান’
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিনগত রাতে বসতবাড়িতে ছানোয়ারা বেগম ও তার ছেলে রাজ ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিরা ডাকাতি করার জন্য তাদের বসতঘরে প্রবেশ করেন। ছানোয়ারা বেগম জেগে উঠে প্রতিবাদ ও চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। একইভাবে ছানোয়ারা বেগমের ছেলে রাজকেও হত্যা করেন তারা। এরপর আসামিরা ছানোয়ারার গলায় মাফলার ও রাজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ সময় তার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যান আসামিরা। নিহত ছানোয়ারা বেগম সোনাইকান্দি গ্রামের মানিকের স্ত্রী। ওই বাড়িতে ছানোয়ারা ও তার ছেলে রাজ বসবাস করতেন।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন পারভিনা খাতুন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের এই শাস্তির আদেশ দেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিচারক সোহানী পূশণের আদালতের বেঞ্জ সহকারী অরুপ রায়হান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডাকাতি করতে গিয়ে মা ও ছেলেকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।