রাজ রোস্তম আলী স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকা সাভার আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন চাওয়ায় কারাখানায় ডেকে নিয়ে ৩ জন শ্রমিক নেতাকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কারখানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। শ্রমিকদেরকেও মারধরেরও অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরে সেনাবাহিনী খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন এবং এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আহত ৩ শ্রমিক নেতাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
বুধবার দুপুরে আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: সাইফুল্লাহ আকন্দ। এরআগে মঙ্গলবার রাত ৮টারদিকে আশুলিয়ার জিরাবো বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় প্লাটিনাম ক্রিয়েশন এন্ড ডিজাইন লিমিটেড নামে একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার ফেডারেশনের ঢাকা সাভার ও আশুলিয়া কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো: নাইম শিকদার ও জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ ঢাকা সাভার আশুলিয়া কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম মৃধা।
আটককৃতরা হলো, কারখানাটির ডাইরেক্টর আরাফাত জান, পিএম মাসুদ রানা ও এ্যাডমিন ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী শ্রমিক নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করে বলেন, প্লাটিনাম কারাখানার ৪৫ জন ছাটাইকৃত শ্রমিকের বেতন ও পাওনাদি পরিশোধ করতে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করে আসছিলো।
পরে শ্রমিকরা ফেডারেশনে অভিযোগ দিলে, আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করি। এরপরে কারখানা কর্তৃপক্ষ এবিষয় সমাধান করার কথা বলে আমাদেরকে ডেকে নেয়। শ্রমিক সহ আমরা সেখানে যাই। কারখানার মুল ফটক দিয়ে ঢোকার পরে সেখানকার লোকজন গেট লাগিয়ে দেয়। প্রায় ৩ ঘন্টা বসিয়ে রাখে।
এবিষয়ে কারখানাটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ ভূঁইয়া বলেন, সাধারণত আমরা রিজাইন স্যালারি ২০ তারিখ দেই। জানুয়ারি মাসের রিজাইন স্যালারি নিতে শ্রমিকদের কারখানায় ডাকা হয়। কারখানায় তারা আসলে জানতে চাই যে, তোমরা কেন চাকরিচ্যুত হলে এবিষয়ে আমি দেখবো। তখন তারা আমার সাথে ভালো ব্যবহার করে। কিন্তুু কেন তারা কারখানা ভাংচুর করলো তা আমার বোধগম্য নয়।
তাহলে আপনি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিলেন না কেন এবং আপনার কারখানার ৩ জন কর্মকর্তা আটক হলো কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে শ্রমিকরা আমাদের এখানে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে আমি কেন অভিযোগ করবো। অভিযোগ করলে আমার কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে। এছাড়া কারখানার ভিতরে গ্যানজাম ও হাতাহাতি হয়েছে বিধায় কর্মকর্তাদের ওপর সেই লায়াবিলিটি বর্তায়।
এবিষয়ে ঢাকা সাভার আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: সাইফুল্লাহ আকন্দ বলেন, ৩ জনকে সেনাবাহিনী আমার কাছে হস্তান্তর করেন। অভিযোগকারী থানায় অভিযোগ করার পরে মামলা এফআইআর হয়েছে এবং বুধবার তাদেরকে কোর্টে চালান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।