অন্যান্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে স্বতন্ত্র জনির উত্থান: আন্দোলন, সাহিত্য ও ছাত্রঅধিকার থেকে নেতৃত্বের পথে

  প্রতিনিধি 29 August 2025 , 6:34:43 প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ মোসাদ্দেক হোসাইন রাফিও (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে আলোচনায় এসেছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আহমেদ হোসেন জনি। প্রচলিত দলীয় প্রার্থীদের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ও চাহিদাকে সামনে এনে লড়ছেন। তিনি প্রচারণায় স্লোগান ব্যবহার করছেন “পরিবর্তনে অংশ নিন, ২ নং ব্যালটে ভোট দিন।”

জনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হলে দখলমুক্ত পরিবেশ, “এক শিক্ষার্থী এক সিট” নীতি, ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত খাবার এবং পড়াশোনার জন্য উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার। পাশাপাশি মশা ও ছারপোকামুক্ত আবাসন, আধুনিক রিডিং রুম, কম্পিউটার ল্যাব, লিফট সমস্যার সমাধান এবং নতুন ভবন দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ও তার অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনাও দিয়েছেন তিনি।

তবে জনির পরিচিতি কেবল নির্বাচনী ইশতেহারে সীমাবদ্ধ নয়। আন্দোলন ও সাহিত্যচর্চার ভেতর দিয়েই তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীদের পরিচিত মুখ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে তার লেখা একটি গ্রাফিতি –

“একে তো কোটার বাঁশ,

তার উপর প্রশ্ন ফাঁস”

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে এটি গান, ফেস্টুন ও স্লোগান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

আন্দোলন, সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও সংস্কৃতিচর্চা—সব ক্ষেত্রেই সক্রিয় ছিলেন জনি। তিনি শেরপুর জেলা ছাত্র সংসদ (ঢাবি)-এর সভাপতি, মুহসীন হল ইকোনমিক্স সোসাইটির সভাপতি এবং সাবেক সভাপতি মুহসীন হল সাহিত্য সংসদ। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন DOHPS-এ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন শিক্ষা, সাহিত্য ও যুব উন্নয়ন খাতে।

তিনি বলেন, “আমি কোনো দলের রাজনীতি করিনি, করছি না। আমি শুধু চাই শিক্ষার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয়। মুহসীন হল আমার পরিবার – এখানে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য।”

শিক্ষার্থীদের মতে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জনির উত্থান ছাত্ররাজনীতিতে এক বিকল্প ধারার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রচলিত ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির বাইরে গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যা ও মৌলিক দাবি নিয়ে যে প্রচারণা করছেন, তা মুহসীন হলে নতুন ধরণের আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ