অন্যান্য

তীব্র শীতে ফেরি করে বিক্রয় করছে লেপতোষক এর চাহিদা বাড়ছে

  প্রতিনিধি 14 January 2025 , 12:33:41 প্রিন্ট সংস্করণ

 

জি এম ফিরোজ উদ্দিন

মনোহরপুর,(মনিরামপুর প্রতিনিধি:

 

গেল কয়েক দিনের পৌষের তীব্র শীত অনুভূত হয়েছে।যেমন শীতল বাতাস আর কুয়াশা। আর এই শীতের রাতে মানুষের সঙ্গী হবে লেপ-তোশক। এই মৌসুমকে কেন্দ্র করে কদর বেড়েছে লেপ-তোশক কারিগরদের ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাথায় করে ফেরি করে বিক্রি করে বেড়াচ্ছে।শীত বাড়ার সাথে সাথে কদর বেড়েছে লেপ তোশকের।শৈত্য প্রবাহের কারণে শীতযে খুব একটা কম তা না।

 

 

কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি শীতের মৌসুমে আয়ও বেড়ে যায় এসব কারিগরদের ও হকারি করে বিক্রেতাদের। অধীর আগ্রহ নিয়ে বছরের এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা। মনিরামপুর এর মাঝা মাঝি কুমারঘাটা বাজার এলাকার লেপ-তোশকের দোকান গুলোতেও কারিগরদের ব্যস্ততা দেখা গেছে। লেপ-তোশকের দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার তুলার দাম একটু বেশি। করে বিক্রেতা তারা সাতক্ষীরা থেকে এসেছে আবুল কাসেম আমার বাড়ী সাতক্ষীরা বাসা আমি বহুদিন যাবৎ এ ব্যবসার সাথে।কোন কোন গ্রামে গাড়ী থাকা সব গুলো বিক্রয় করে থাকি তিনি আরো জানান,আমরা আমাদের দোকানে তৈরী করি।প্রতিটি বাজারে,গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রয় করি।বেশ বিক্রয় হচ্ছে।তবেে শীত আরো একটু বেশী হলে আমাদের বেচা বিক্রয় ও বেশী হবে।তারা আরো জানান,জাজিম,বালিশ সহ আমরা বিক্রয় করছি ১৬০০ টাকা,৩৫০০ টাকা পযর্ন্ত

এ ছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় লেপ-তোশকের দাম বেড়ে গেছে। মাঝারি মানের লেপ বানাতে খরচ পড়ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। তোশক বানাতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। তবে তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোশকের দাম কমবেশি হয়। প্রতিদিন একজন কারিগর ৬ থেকে ৮টি লেপ তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে কাজের চাপ বেশি থাকায় লেপ-তোশকের অর্ডার নিলেও যথাসময়ে ডেলিভারি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কারিগরেরা।

তোশক কিনতে আসা কয়েক জন ক্রেতা এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে তোশক বানাতে বেশি টাকা লাগছে। আগে দের থেকে দুই হাজারের মতো লাগত কিন্তু এখন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা লাগছে। বিক্রেতারা বলছেন সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম একটু বেশি ।

লেপ-তোশকের ব্যবসায়ী মো আব্দুল জব্বার সহ আরো অনেকেই জানান, শীতের এই সময়টিতে তাদের আয় ভালো হয়। বছরের বাকি সময় অলস সময় পার করি। দোকানের কারিগরেরা দিনরাত পরিশ্রম করে লেপ-তোশক তৈরি করছেন। বেশ কিছু অর্ডারও আছে। প্রতিদিনই আরও নতুন অর্ডার আসছে। তা ছাড়া তৈরি করা লেপ-তোশক কিনতেও প্রতিদিন বেশ ভিড় করছেন ক্রেতারা। প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়ে বিক্রয় করে থাকে। বসতি দোকানেও এসব লেপ তোষক বিক্রয় করে থাকে। লেপ তোষকের পাশাপাশি আধুনিক যুগের বাহারী রংঙ্গের কম্বল ও বিক্রয় হচ্ছে কম না।মনোহরপুর,বাজারের দোকানিরা বলেন এবার বাজার মন্দা জিনিসের দাম বেশী হওয়ায় বাজারের শাড়ী কাপড় ব্যবসায়ী মো শফিকুল সহ আরে অনেকেই বলেন,প্রতি বারের চেয়ে এবার বেচা কেনা কিরকম হবে জানি না তারপরও কম্বল এনেছি শীত পড়লে বেচা বিক্রয় হবে।তারপরও ভবদহের জলাবদ্ধতা চারপাশে। চরদিকে অভাব তারজন্য বেচাকেনা একেবারেই নেই।গেল কদিনের একটু বেচা বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

শীত বাড়ার সাথে সাথে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কম্বল বিক্রয় করছেন।ছবি টি মনোহরপুর বাজার থেকে নেওয়া

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ