প্রতিনিধি 23 October 2024 , 7:02:42 প্রিন্ট সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধিঃবাগেরহাট
প্রকৃতিতে শেষের পথে কার্তিক মাস
কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মিলেই চীরচেনা হেমন্তকাল। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ধীর পায়ে পায়ে প্রকৃতিতে আসে হেমন্ত।
তবে এরই মধ্যে প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে উত্তরে বাতাসের হালকা কাঁপুনি। যে কাঁপুনি একসময় তীব্র হয়ে জানান দিবে শীতের উপস্থিতি। তবে শহরে এখনও উত্তরে বাতাসের তীব্র কাঁপুনি না হলেও দক্ষিনবঙ্গে কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। হেমন্তে কুয়াশা ভেদ করে লাল আভা বেয়ে পূর্ব আকাশে উঁকি দিতে খানিকটা বেগ পেতে হলেও মায়াবী আলোয় ভরে থাকা চারপাশ সজিবতা ফিরিয়ে আনে মনে।
দৃষ্টিসীমায় কুয়াশার প্রলেপ জমলেও সূর্যের আলো ফোটার আগেই আড়মোড়া ভেঙে ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়েন গ্রামের মানুষজন।
অপরদিকে গ্রামবাংলার মানুষের জীবনে হেমন্ত মানেই নবান্ন উৎসবের আমেজ। হেমন্ত এলেই এই জনপদের মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করে। হেমন্তের আগমনে গ্রামের মেঠোপথে সকালে হাঠলেই পা ভিজে যাই শিশির কণাতে। হেমন্তের আগমনে মাঠে মাঠে হেসে উঠে সোনালী ধান। পাকাধানের মৌ মৌ সুমৃষ্ট সুভাসে মুখরিত চারিপাশ। আর কয়দিন পরেই কৃষকের ঘরে ঘরে উঠবে রক্তজলকরা নতুন সোনালী রোপা ধান।নতুন ধানের সাথে মিশে আছে কৃষকের নতুন স্বপ্ন নতুন আশা।
আর এই নতুন ধানের চাউল থেকে বাংলার গৃহবধুরা গুরা তৈরী করে নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরী করবে হরেক রকমের বাঙ্গালী পিঠা-পুলি। আসতে শুরু করবে মেয়ে-জামাই।
ইতিমধ্যে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। সকালের আকাশ অনেকটাই ঘোলাটে থাকে। শেষরাতের দিকে অথবা খুব সকালে হালকা ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। শেষরাতে একটা কিছু গায়ে না জড়িয়ে আরামে ঘুমানো যাচ্ছে না। তবে দেশের উত্তরঞ্চলে আরও বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।
আরিফ হাসান গজনবী
বিশেষ প্রতিনিধি (রামপাল) বাগেরহাট