প্রতিনিধি 23 June 2025 , 10:57:24 প্রিন্ট সংস্করণ
সাকিব হোসেন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন মোসা. কোহিনুর বেগম। তবে মামলার তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষায় অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এবার সেই মামলার বাদীকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কোহিনুর বেগম দুমকী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তাঁর প্রতিবন্ধী মেয়েকে একা পেয়ে প্রতিবেশী মোক্তার হোসেন মৃধা ধর্ষণ করেছেন ও মেহেদী হাসান রাসেল হাওলাদার এ কাজে সহযোগিতা করেছেন।
তবে পুলিশি তদন্ত ও মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে আদালত ওই দুই আসামিকে মামলায় অব্যাহতি দেন।
এ ঘটনার পর গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ এনে রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে কোহিনুর বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় কোহিনুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদীপক্ষের অন্য আসামিরা হলেন—কোহিনুরের স্বামী কামাল শরীফ, তাঁদের দুই মেয়ে জোসনা আক্তার ও মারুফা আক্তার, ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, রেবেকা বেগম এবং স্থানীয় চৌকিদার মিজানুর রহমান।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ ও সর্বশেষ মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পক্ষ না করার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ মিথ্যা মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদারকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তো রিসিভ করেননি এবং তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।