নিজস্ব প্রতিবেদক | দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ
যশোরের অভয়নগরে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। ঘেরের পাড়ে পড়ে ছিল কুয়েতপ্রবাসী যুবক হাসান শেখের (২৭) গলাকাটা নিথর দেহ। ৭ বছর বিদেশে জীবন সংগ্রামের পর দেশে ফিরে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ফেরা যেন পরিণত হলো রক্তাক্ত বিদায়ে!
রবিবার (১৫ জুন) সকালে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি মাছের ঘের থেকে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। নিহত হাসান শেখ নাউলী গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে, শনিবার রাতেই দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশের একাধিক তদন্ত টিম।
হাসানের বড় ভাই এস এম মুন্না শেখ, যিনি অভয়নগর থানা বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য, কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন “কুয়েতে হাসান একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে চাকরি করত। দেশে ফিরে সম্প্রতি বিয়ে করেছে। শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধুমহলে আড্ডা দিয়েছে। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে জানতে পারি, তার গলাকাটা লাশ ঘেরের পাড়ে পড়ে আছে। আমার ভাই কারো কোনো ক্ষতি করেনি, তার কোনো শত্রুও ছিল না। এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।” অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার মোটিভ এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আমরা গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছি। দ্রুতই আসল রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
এ ঘটনায় অভয়নগরে নেমে এসেছে নীরব আতঙ্ক ও তীব্র শোকের ছায়া। এলাকাবাসীর দাবি—একজন প্রবাসীর দেশে ফিরে এভাবে নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনা শুধু বেদনাদায়ক নয়, এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রশ্নও তুলে দেয়।