মহসিন রেজা

নওগাঁর মান্দায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়বেলালদহ গ্রামের মধ্যপাড়ায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ ওই এলাকার প্রায় ৫০ জন নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ভূক্তভোগী রবিউল হোসেন রনি’র মা বিউটি,নানী রেবা,মামা মাসুদ রানা, প্রতিবেশী নানা হাবিবুর রহমান,মামা মাইনুর রশিদ এবং বন্ধু আমজাদ হোসেন প্রমূখ।

এসময় বড়বেলালদহ (মধ্যপাড়া) গ্রামের ভূক্তভোগী রবিউল হোসেন রনি’র মা বিউটি বলেন, তার স্বামী রেজাউল হক একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তার ছেলে রবিউল হোসেন রনি (১৯) এবং মেয়েকে নিয়ে স্বামীর গ্রামের বাড়িতে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। ছেলে রবিউল হোসেন রনি বড়বেলালদহ ফাজিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থী। গত ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তার ছেলে রবিউল হোসেন রনি বড়বেলালদহ ফাজিল মাদ্রাসার মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে অভিনব কায়দায় রাস্তা থেকে জোড়পূর্বকভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে বড়বেলালদহ ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহায়ক (পিয়ন) লুৎফর রহমানের বাড়িতে আটকিয়ে রেখে মারপিটকরাসহ ছেলের শরীরে থাকা বিদেশী স্বর্ণের ১ ভরি ১ রতি ওজনের চেইন, একটি ৫ আনা ওজনের আংটি, ১০ আনা ওজনের একটি ব্রেসলাইট,একটি বিদেশী স্মার্টফোন এবং নগদ ১১ হাজার ৯০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে লুৎফর রহমানের ছেলে প্রবাসী (সংযুক্ত আরব আমিরাত) আলমগীরের স্ত্রী’র সাথে পরকিয়া প্রেমের অপবাদ দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এরপর তাকে থানায় নেওয়ার পর ২০০১ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এমতাবস্থায় নিরুপাই হয়ে ছেলের ছিনতাইকৃত স্বর্ণের গহনা, স্মার্টফোন ও নগদ টাকা উদ্ধারসহ ন্যায় বিচারের জন্য বড়বেলালদহ গ্রামের লুৎফর রহমান, কাজল, জাহানারা,রেবা এবং আদরী’র নাম উল্লেখ করে মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। প্রতিবেশী ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামী’র মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ধর্ষণ মামলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাতে বড়বেলালদহ ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহায়ক (পিয়ন) লুৎফর রহমানের ছেলে প্রবাসী আলমগীরের স্ত্রী কর্তৃক নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে রবিউল হোসেন রনিকে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে স্বর্ণের গহনা, স্মার্টফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

DB/MN