অন্যান্য

নড়াইল পৌরসভার ইট-সুরকির জোড়াতালি দিয়ে চলছে সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী 

  প্রতিনিধি 2 February 2025 , 9:58:25 প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

 

নড়াইল পৌরসভার ইট-সুরকির জোড়াতালি দিয়ে চলছে সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী।

নড়াইল পৌরসভার সড়কগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সড়কের পিচের সঙ্গে উঠে গেছে খোয়াও। কোথাও কোথাও ইট-সুরকির জোড়াতালি দিয়ে চলছে সড়কগুলো। কিন্তু বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। মেয়র আসে মেয়র যায়। তবে সড়কগুলোর কোনো উন্নয়ন হয় না। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, নড়াইল পৌর শহরে এখন যেসব সড়ক রয়েছে তাতে কোন মেয়রের সময় পিচের প্রলেপ পড়েছে তা মনে নেই বাসিন্দাদের। পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার না হওয়ায় সড়ক থেকে পিচের সঙ্গে উঠে গেছে খোয়াও। খানাখন্দে যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন একটা পড়েনি। জনগুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি পৌরবাসীর।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে ২৮.৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় নড়াইল পৌরসভা। ১৯৯৯ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। পৌরসভায় মোট ৩৭১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে মাত্র ৫২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। ঢালাই সড়ক রয়েছে ১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার। ইটের সড়ক ৬ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার। কাঁচা সড়ক ১৭৭ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। অন্যান্য সড়ক রয়েছে ১২২ কিলোমিটার।

ভাদুলিডাঙ্গা এলাকার বিনয় বিশ্বাস বলেন, বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা এসেছেন। আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন জনপ্রতিনিধিরা নেই। আমাদের সমস্যার কথা শোনারও কেউ নেই।

পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার সাধন দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার অধীনে আমাদের এলাকার সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী। কেউ সংস্কারের উদ্যোগ নেননি।

মহিষখোলা এলাকার আফরোজা বেগম বলেন, পৌরসভার সড়কগুলো এতই বেহাল অবস্থা যে, বাজার থেকে মালামাল নিয়ে ভ্যান-রিকশা আসতে চায় না।

তাহের নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমাদের গ্রামে যাতায়াতের সড়কটি দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী। বিগত মেয়রসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে আমরা একাধিকবার ধরনা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা শুধুই আশ্বাস দিয়েছেন।

নড়াইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী হায়দার বলেন, সড়ক সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ প্রয়োজন তা না থাকায় সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। আমরা মাত্র ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেই অর্থ দিয়ে গত বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কয়েকটি সড়ক কেটে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছিল। অর্থ বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নড়াইল পৌরসভার প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না বলেন, নড়াইল ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে নাগরিকদের জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। বরাদ্দ না থাকায় পৌরসভার সড়কগুলো সংস্কার করা যাচ্ছে না। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে পৌরসভার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ