নানান সমস্যা ও প্রধান শিক্ষকের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির শিখরে সোনাপুর (SESDP) মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সময়ে অসময়ে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে নানান প্রশ্ন, ছোঁড়া হয়েছে কাঁদা।
দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নানান সমস্যা ও প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির শিখরে সোনাপুর (SESDP) মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সময়ে অসময়ে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে নানান প্রশ্ন, ছোঁড়া হয়েছে কাঁদা। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষও বিভিন্ন কারণে নানান সময়ে নন্দিত ও নিন্দিত হয়েছেন। আমরা সচেতন নাগরিক হিসেবে চেষ্টা করে এসেছি ভুল হলে প্রতিবাদ করার আর প্রয়োজনে পাশে থাকার।
তাই সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা কে নিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের হিম্মতের গাঁও গ্রামের প্রবাসী মোঃ আব্দুল হাই রতন
সোনাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যথারীতি পরীক্ষার হলে উপস্থিত হয় প্রি-টেস্ট তথা প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে। কিন্তু বিদ্যালয়ে পৌঁছে জানতে পারে, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা যথারীতি চললেও, হচ্ছে না দশম শ্রেণীর প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা। কোনও আনুষ্ঠানিক পূর্বঘোষণা নেই, নেই কোনো লিখিত বা মৌখিক ব্যাখ্যা। শুধু জানিয়ে দেওয়া হলো, পরীক্ষা হচ্ছে না। কিছু শিক্ষার্থী ঘটনাচক্রে পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কথা জানলেও, বড় একটা অংশ জানতে পেরেছে পরীক্ষার হল এ গিয়ে!
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কারণ জানতে চাইলে জবাব পাওয়া যায় না কোন শিক্ষকের কাছেই।
অবশেষে একজন শিক্ষক, এমদাদুল হক মিলন জানান, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের” নির্দেশে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সেই উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আর কেউ নয় স্বয়ং প্রতিষ্ঠান প্রধান, যার একক সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয়েছে একটি শ্রেণীর পরীক্ষা।
⇨প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি নেওয়া হবে নির্বাচনী পরীক্ষা!? অনেক বড় প্রশ্ন! জবাব এলো, সেপ্টেম্বর মাসে আবার নেওয়া হবে প্রাক নির্বাচনী। যার ১৫ দিন পরপরই নির্বাচনী পরীক্ষা। জবাবটাকে সাজানোর চেষ্টা করা হলো, অথচ ব্যাপারটা এখনও ঘোলাটে। কোন সঙ্গত কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে নির্বাচনী পরীক্ষার মাত্র কয়েকদিন আগে নেওয়া হবে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা? কেন এই অনিয়ম?
⇨কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, জাতীয় ছুটি ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত কি যৌক্তিক? যদি যৌক্তিক হয়ে থাকে তাহলে কেন এরূপ সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা কাউকে দেখানো হয়নি?
⇨শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসে হঠাৎ করে জানবে- পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে, এমন আচরণ কি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল আচরণ হতে পারে? কেন সকল শিক্ষার্থী জানে না পরীক্ষা বাতিল হওয়ার খবর?
⇨“উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ” এই শব্দবন্ধ কি সব সময় সব প্রশ্নের উত্তর হয়ে যেতে পারে? না কি এটি দায়িত্ব এড়ানোর একটি পথমাত্র?
শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ম থাকা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি সেই নিয়মে স্বচ্ছতা, আগাম পরিকল্পনা এবং সম্মানজনক আচরণ। এই ঘটনার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক স্থিতি, সব কিছুতেই ধাক্কা খেয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্থানটি একটি দায়িত্ববোধের জায়গা, খেয়ালখুশির নয়। তাই তিনিও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিতার অধীন। দোয়ারাবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোনাপুর SESDP উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে বারবার ফোন দিলেও তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেননি,।