দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দেশের ১৫০টি উপজেলার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলাতেও শুরু হচ্ছে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ কর্মসূচি চালু হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের সই করা অফিস আদেশে রোববার (২২ জুন) নাসিরনগরকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সংক্রান্ত চিঠিতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের হালনাগাদ তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
কী থাকবে খাবারের তালিকায়? সপ্তাহের পাঁচ দিন শিক্ষার্থীদের জন্য সরবরাহ করা হবে পুষ্টিকর খাবার: রোববার: বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম। সোমবার: বনরুটি ও ইউএইচটি দুধ। মঙ্গলবার: বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম। বুধবার: ফর্টিফাইড বিস্কুট ও কলা/স্থানীয় মৌসুমি ফল। বৃহস্পতিবার: বনরুটি ও সিদ্ধ ডিম।
এব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইসহাক মিঞা বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার শিশুরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বাড়বে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
নাসিরনগর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল হুদা বলেন, “স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতিতে নাসিরনগর উপজেলা একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠবে। ঝরে পড়া রোধ হবে এবং কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে।”
উপস্থিত অভিভাবকরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, এই উদ্যোগ শিশুদের মধ্যে বিদ্যালয়মুখী মনোভাব গড়ে তুলবে। পাশাপাশি পুষ্টির ঘাটতি দূর করে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
সরকারের এই উদ্যোগকে স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নাসিরনগরের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন গতি আসবে।
শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দেশের ১৫০টি উপজেলার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলাতেও শুরু হচ্ছে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ কর্মসূচি চালু হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের সই করা অফিস আদেশে রোববার (২২ জুন) নাসিরনগরকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সংক্রান্ত চিঠিতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের হালনাগাদ তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।