এস এম মনিরুজ্জামান, স্টাফ রিপোর্টার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলা এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে অবরুদ্ধ নেতাদের উদ্ধারে কার্যকর ও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ (১৬ জুলাই) এক জরুরি বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন,
“গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের সার্বভৌমতার অংশ। সেখানে দেশের অন্যতম ছাত্রনেতাদের ওপর প্রকাশ্য হামলা এবং অবরুদ্ধ করে রাখা চরম অপরাধ। যারা এই বর্বর হামলায় অংশ নিয়েছে, তারা স্বৈরতন্ত্রের দালাল। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি বলেন, জুলাই মাস জুড়ে এনসিপি’র নেতৃত্বে সারা দেশে গণজাগরণের যে আন্দোলন চলছে, তাতে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা স্পষ্ট হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জে পদযাত্রা চলাকালে যে সহিংসতা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং একই সঙ্গে প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা।
পীর সাহেব চরমোনাই অভিযোগ করেন, “গোপালগঞ্জে ফ্যাসিবাদের দোসরদের হামলা প্রতিরোধে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং প্রশ্ন থেকে যায়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে হামলার সুযোগ করে দিলো কিনা। বিশেষ করে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকায় তদন্ত জরুরি।”
তিনি আরো বলেন, “মিডিয়ার একাংশ হামলাকারীদের ‘গ্রামবাসী’ বা ‘এলাকাবাসী’ বলে উপস্থাপন করেছে—যা বাস্তবতাকে আড়াল করার কৌশল। বাস্তবে তারা আওয়ামী লীগের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী বাহিনী। তারা গণআন্দোলন দমন ও সত্যকে আড়াল করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
পীর সাহেব সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির এই সময়ে যেভাবে স্বৈরাচারের দোসররা সাহস করে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তা রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার বড় প্রমাণ। শুধুমাত্র ঢাকায় কিছু নেতাকে বিচারের আওতায় আনলেই হবে না, বরং সারা দেশে স্বৈরাচারী শক্তির সঙ্গে যুক্ত সকলকেই দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন,
“জাতি আর কোনো ফ্যাসিবাদী হামলা দেখতে চায় না। এই ধরনের হামলা, অবরোধ ও দমননীতি গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পরিপন্থী।”