প্রতিনিধি 2 July 2025 , 4:36:40 প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদদের স্থরণে সাংবাদিক ইউনিয়নের সভায় ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল
মাহমুদুল হাসান চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে বীর শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেম মাহবুব শ্যামল বলেছেন দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার জগদ্দল পাথরের মতো দেশের, জনতার উপর চেপে বসে দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিনত করেছিল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান শহীদদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বোচ্চ ৩০ জন শহীদ হয়েছিলো। নতুন বাংলাদেশে এই জেলার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। নতুবা সব কিছু আপনাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।তার জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা।”
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন,
“ছাত্র জনতার গণজোয়ার না হলে এ পাথর নামানো কখনো সম্ভব হতোনা। ২৪ এর বীর ছাত্র জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে আজ মুক্ত বাংলাদেশ।’
বক্তারা আরো বলেন, জুলাই গনহত্যার বিচার ত্বরান্বিত করে সাম্য ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আলোচনা সভায় হাসিনা সরকারের গুলিতে সেদিন যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন বক্তারা। যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুচিকিৎসায় যেন কোন গাফলতি করা না হয়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
জুলাই আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে আলোচনা সভা, গণ-অভ্যুত্থানের ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, শহীদদের স্থরণে ১ মিনিট নিরবতা ও দোয়া শনিবার ২ আগষ্ট সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সোহেল আহাদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ। দোয়া পরিচালনা করেন জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাওলানা মুবারকউল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক খুরশিদ আলম, নিউজ টুয়েন্টিফোরের হেড অফ নিউজ শরীফুল ইসলাম খান, এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি ও ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ঢাকার সভাপতি হাসান জাবেদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আল-আমিন শাহিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর মাওলানা, মোবারক হোসাইন, হেফাজত ইসলামের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মুফতি বুরহান উদ্দীন কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আঃ আজিজ, খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটির সভাপতি হাফেজ এমদাদুল্লাহ সিরাজী, ইসলামী আন্দোলন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিয়াজুল করীম। আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু।
গণ-অভ্যুত্থানের শোক ও বিজয় উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত থাকায় সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু জেলার বিভিন্ন উপজেলা ইউনিট থেকে আসা সকল সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।
সবশেষে জেলার বিভিন্ন শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে মরণোত্তর সন্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়