নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনায় খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সজল রায় বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন লেপসিয়া ফাঁড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন চাকুয়া গ্রামের সনজিত রায়(সুধন) ও তার ছেলে সৌরভ রায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সজল রায়ের সঙ্গে সনজিত রায়(সুধন) ও তার ছেলে সৌরভ রায়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে আসছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকলেও বিবাদীরা আইনের তোয়াক্কা না করে সজল রায়ের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে সজল রায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। ভুল বশত বি আর এস খতিয়ান সনজিত রায়ের বাবা মৃত সন্তোষ চন্দ্রের নামে নথিভুক্ত হয়।বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে (৩০০)তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দু পক্ষের সম্মতিতে সমাধান করে দেয়।কিছু দিন পর সনজিত রায় ও তার ছেলে গ্রাম্য সালিশ উপেক্ষা করে জমি দখলের পাঁয়তার শুরু করে।বর্তমানে এই জমির বি আর এস দাগ সংশোধনীর জন্য বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান। একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি থাকায় প্রায় সময় বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি এলাকাবাসীসহ স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিগন অবগত থাকলেও মিলছে না কোনো সমাধান।
অভিযুক্ত সনজিত রায়ের সাথে দেখা করা সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে খালিয়াজুরী লেপসিয়া ফাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, "আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দারা জানান, সজল রায়ের পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ এই জমি ভোগদখল করে আসছে।সনজিত (সুধন)রায় সমাজ মানে না, লোভী প্রকৃতির লোক।বিষয়টি আমরা গ্রাম্য সালিশে সমাধান করে দিলেও সে সবকিছু উপেক্ষা করে ভোগদখলের পায়তারা করে।