নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি নিয়মিত রোগী দেখতেন, নাম তার "ডা: এমন এস জামান চৌধুরী" এমবিবিএস (ঢাকা) বিসিএস (স্বাস্থ্য) মেডিসিন চর্ম যৌন ও কসমেটিক বিশেষজ্ঞ।
চাঁদপুর মর্ডান হসপিটালে রোগী দেখার সময় ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে ধরা খেলে জানাজায় তিনি অষ্টম শ্রেণী পাস ,অথচ তার ভিজিটিং কার্ডে লেখা আছে এমবিবিএস এফসিবিএস বিসিএস স্বাস্থ্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ল্যাবএইড হসপিটাল ইত্যাদি।
এন্টিবায়োটিক ঔষুধ খেলে মানুষের রোগ সারে কিন্তু ভুল ঔষুধ সেবন করলে মানুষের মৃত্যুর কারণ ঘটতে পারে।
তাই যে কোন রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানোর পূর্বে ডাক্তারের অভিজ্ঞতা এবং সঠিক ডাক্তার কিনা সেই বিষয়টুকু যাচাই-বাছাই করা দরকার।
বর্তমান সমাজে অহরহর এমন ভুয়া ডাক্তারের ভুয়া ডিগ্রিতে মানুষ আকৃষ্ট হয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।
যিনি ডাক্তার তিনি রোগ সম্পর্কে অবগত নন, রোগীকে ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি লিখতে থাকেন চলতে থাকবে।
দুই মাস পর আবার এসে দেখা করবেন, ঐ দুই মাস শেষ হলে আবার যখন ডাক্তারের সাক্ষাৎকারে যাওয়া হয় তখন ওই ডাক্তার বলে আগের ওষুধ পরিবর্তন করতে হবে।
এতে করে বুঝা যায় যে, যে ডাক্তার রোগীকে প্রেসক্রিপশন দিয়েছিল তিনি ওই রোগ সম্পর্কে আদৌ ওয়াকিবহাল নহে।
গ্রামের সাধারণ মানুষ হয়তোবা এসব ডাক্তার সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারে না।
কিন্তু যেসব হাসপাতাল ক্লিনিক এসব ডাক্তারদের নিয়োগ দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে হাসপাতাল বন্ধসহ জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা হলে এ ধরনের ভুয়া ডাক্তারের উৎপত্তি ছড়াবে না।
নোয়াখালী জেলার হাসপাতাল রোড সহ নোয়াখালীর বিভিন্ন বড় বড় বাজারে ব্যাঙের ছাতার মতো যেভাবে হাসপাতাল ক্লিনিক গড়ে উঠেছে সেই ক্ষেত্রে প্রকৃত ডাক্তার খুঁজে পাওয়া মুশকিল
একজন এমবিবিএস ডাক্তার বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখাতে হলে ন্যূনতম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ভিজিট দিতে হয়।
প্রকৃতপক্ষে আসলে সে কি ডাক্তার নাকি ডাক্তার নামের কসাই সেটা বুঝে ওঠিই মুশকিল হয়ে যায়।
দরকারি বিনা দরকারি টেস্টের তালিকা দেখলে বুঝা যায় আসলে তারা ডাক্তার নয় তারা হচ্ছে ডা*কা*ত!
আর এই ধরনের ডা*কা*ত থেকে বাঁচার একটি মাত্র পথ খুঁজে বের করতে না পারলে যে ওষুধে আমাদের জীবন বাঁচবে সেই ওষুধে আমাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে।