আসাদুজ্জামান রিফাত, নোয়াখালী সদর,
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নোয়াখালী সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী এক শুভেচ্ছা বার্তায় মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী জেলা মজলিশে শুরা সদস্য ও সদর উপজেলা আমির হাফেজ মহিউদ্দিন এবং জেলা মজলিশে শুরা সদস্য ও সদর উপজেলা সেক্রেটারি ডা. মিরাজুল ইসলাম।
শুভেচ্ছা বার্তায় তারা বলেন, “ত্যাগ ও কুরবানির মহান আদর্শকে ধারণ করে ঈদুল আযহা প্রতি বছর আমাদের সামনে ফিরে আসে। এই ঈদ শুধু পশু কুরবানির উৎসব নয়, বরং এটি মুসলিম উম্মাহর আত্মত্যাগ, তাকওয়া ও পরস্পরের ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করার এক মহাসুযোগ। হযরত ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর রাহে ত্যাগের যে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা মুসলমানদের জন্য চিরন্তন শিক্ষা।"
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “আল্লাহ্ আমাদের উপর কুরবানিকে যেমন ওয়াজিব করেছেন, তেমনি দ্বীনের প্রতিষ্ঠার জন্য জান-মাল কুরবানিও ফরজ করেছেন। তাই এই ঈদে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং শোষণমুক্ত ও তাকওাভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।”
তারা দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ঈদ উদযাপনকালে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
নেতৃবৃন্দ ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তারা কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিম্নলিখিত করণীয়গুলোর প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন:
১. উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকা।
২. পশুর রক্ত, গোবর ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটি চাপা দেওয়া।
৩. কোরবানির উচ্ছিষ্ট যেমন রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, হাড়, শিং ইত্যাদি যেন খোলা জায়গায় না ফেলা হয়, বরং নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলা।
৪. মাংস বিতরণ ও বর্জ্য অপসারণে প্লাস্টিক নয়, পরিবেশবান্ধব বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ ব্যবহার করা।
৫. বর্জ্য দ্রুত অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা।
তারা বলেন, “পরিচ্ছন্নতা শুধু শারীরিক নয়, বরং এটি ঈমানের অংশ। আসুন, পরিচ্ছন্ন কোরবানির মাধ্যমে আমরা আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করি এবং একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসি।”