শাহিনুর রহমান
চীন সরকারের অর্থায়নে পঞ্চগড়ে প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যার চীন-মৈত্রী হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর ইতোমধ্যেই স্থাপন করা হলেও, সম্প্রতি এ প্রকল্পটি অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনার খবর প্রকাশ্যে আসায় চরম ক্ষোভে ফুঁসছে পঞ্চগড়বাসী।
স্থানীয়রা বলছেন, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এই জেলায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এখনো অনেকাংশে সীমিত। এ অবস্থায় একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ ছিল জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। কিন্তু হাসপাতাল স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত পঞ্চগড়বাসীর সঙ্গে চরম অবিচার এবং সরকারের হঠকারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন তারা।
এই অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং পঞ্চগড়ে হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে আজ সকাল ১১টায় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে শত শত মানুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং হাসপাতাল স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা কোনো দয়ার বিষয় নয়, এটা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। পঞ্চগড়বাসী তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। চীন-মৈত্রী হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপন করতে হবে, এটাই সময়ের দাবি।”
তারা আরও বলেন, “উত্তরের দুর্গ হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড় এখনো অবহেলিত। এই হাসপাতাল স্থাপন হলে শুধু পঞ্চগড় নয়, আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ উপকৃত হবে। তাই এ দাবি শুধু স্থানীয় নয়, আঞ্চলিক স্বাস্থ্যসেবার সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ।”
মানববন্ধনে দাবি করা হয়, অচিরেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে চীন-মৈত্রী হাসপাতালের নির্মাণকাজ পঞ্চগড়েই শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।