*সাজ্জাদ হোসেন সাগর*
শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতি ও তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবারছবি: প্রথম আলো
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতি ও তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) আরিফ মুহাম্মদ শাকুর সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মো. কাওসার, আশীষ গাইন ও রিপন সোহাগ। তাঁদের কাছ থেকে একটি মুঠোফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। কাওসারের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে, আশীষ গাইনের বাড়ি কলাপাড়া পৌরসভায় এবং রিপন সোহাগের বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলার পোটকাখালী গ্রামে।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর ওই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গোয়েন্দা ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে কাওসারের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। গত বুধবার তাঁকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার দারুস সালাম এলাকা থেকে রিপন সোহাগ এবং কলাপাড়া থেকে আশীষ গাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরিফ মুহাম্মদ শাকুর আরও বলেন, ওই ঘটনায় আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদের প্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া লুট করা স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার করারও চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) জাকির হোসেন ও কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম।
গত ১৪ জুলাই রাতে একদল ডাকাত ওই শিক্ষকের একতলা ভবনের বারান্দার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। পরিবারের সদস্যদের এক কক্ষে জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে রাখে। ডাকাতেরা ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এ ছাড়া শিক্ষকের স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনার পরদিন কলাপাড়া থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ওই শিক্ষক।