অন্যান্য

পদবঞ্চিত হয়ে বনানী থানা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মরিয়া 

  প্রতিনিধি 24 March 2025 , 9:57:17 প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি আদর্শ পরিপন্থি সুনির্দিষ্ট একাধিক অভিযোগ রয়েছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল বনানী থানার সাবেক সভাপতি রোকেয়া সরকারের বিরুদ্ধে। স্বার্থলোভী রোকেয়া সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করার অভিযোগও রয়েছে। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, বেফাঁস কথাবার্তাতে বিএনপি’র সিনিয়র নেতারাও নারাজ। যে কারনে সদ্য ঘোষিত বনানী থানা মহিলা দলের কমিটির কোনো পদে জায়গা দেওয়া হয়নি সাবেক এই সভাপতিকে।

 

পদবঞ্চিত রোকেয়া সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একেরপর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে বিএনপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। এবং সদ্য ঘোষিত বনানী থানা মহিলা দলের কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করছেন মিথ্যা অপপ্রচার।

 

সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক মহিলা যুবলীগ নেতা রেশমাকে পুনর্বাসন করছেন কেন জিজ্ঞেস করলে রোকেয়া সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়া ওই সাংবাদিকের নামে কোর্টে গিয়ে মিথ্যা মানহানির মামলা দিবেন বলে হুমকি দিয়ে আবার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

 

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোকেয়া সরকার একজন স্বার্থলোভী।‌ অতিরিক্ত কথা বলেন। আর বেশি বুঝেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করার বিষয়টি সবার জানা। আসলে এর পেছনের রহস্য হলো কড়াইল বস্তিতে চাঁদাবাজি ও অবৈধ ব্যবসার দখল নেওয়া। রোকেয়া সরকারের স্বামী বনানী থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরকার। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই। কিছুদিন আগে শাহজাহান সরকারের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

 

এদিকে পদবঞ্চিত হয়ে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন নিয়ে মহিলা দলের কর্মীর উপর আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে রোকেয়া সরকারের বিরুদ্ধে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তর থেকে তাকে নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

 

আহ্বায়ক নায়াব ইউসুফ ও সদস্য সচিব রুনা লায়লা রুনা স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ এবং তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন নিয়ে দলের মহিলা কর্মীর উপর আক্রমণের অভিযোগে রোকেয়া সরকারকে যথাযথ কারণ দর্শাতে বলা হয়।

 

Author

আরও খবর

খুলনায় প্রকাশ্যে জুয়ার টিকিট বিক্রি, আটক ১৬

থামল কিংবদন্তির পথচলা

নোয়াখালী সরকারি কলেজ দাওয়াহ সার্কেলের উদ্যেগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না ঝিনাইদহ প্রতিনিধি চার সদস্যের পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঋষিপাড়ায় থাকেন ফজলুল রহমান। ভ্যান চালিয়ে দিনে আয় করেন ২৫০-৩০০ টাকা। এর অর্ধেক চলে যায় কিস্তি দিতে। বাকি টাকায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুর হরিণাকুণ্ডুর একটি দোকানে ডিম কিনতে এসেছিলেন। দাম শুনেই তিনি হতবাক। প্রতি হালি ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। ফজলুর লোকমুখে শুনেছেন, সরকার ডিমের দাম কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দাম এত বেশি কেন? জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে অন্যখানে যান।’ পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না ফজলুরের। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাঁচাবাজারে। শাকসবজিসহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে হতাশা ঘিরে ধরে তাঁকে। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না। ফজলুর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগেও প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা। এখন সেটার দাম কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা আবার কোথাও ১৪ টাকা। হালিতে এই ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। শাকসবজি, মাছ, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ২৫০-৩০০ টাকা আয়ের মধ্যে ঋণ নিয়ে কেনা ভ্যানের কিস্তির জন্য দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকি ১০০-১৫০ টাকায় চাল, ডাল, তেল আর তরিতরকারি কেনা যায় না। একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না। কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সাগর হোসেন। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া এলাকায় থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবা নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছয় সদস্যের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। সাগর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ অক্টোবর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা প্রতি পিসের ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। বুধবার থেকে এ দামে ডিম বিক্রির কথা থাকলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন। একেক জায়গায় একেক রকম দাম নেওয়া হচ্ছ। উপজেলা শহরের কোথাও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে ১৪ টাকা করে। লাগামহীন ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০-৩২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। লাউ পিস ৫০-৬০ টাকা, আলুর ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ৪০ টাকার কাঁচাকলা ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এদিন ঢ্যাঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০-১৫০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের বিক্রেতা খাইরুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে। মানুষের সবজি ও কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কম। তাই সব কিছুর দাম বেড়েছে। দাম কমাতে হলে আগে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়ত থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আশরাফুল ইসলামের। তাঁর দাবি, খামারির কাছ থেকেই প্রতি পিস ডিম কিনতে হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। খুচরায় বিক্রি করছেন ১৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। আনার সময় অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে লাভ থাকে না। শুধু ক্রেতা ধরে রাখতেই ডিম বিক্রি করছেন। উৎপাদক ও পাইকার পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডিম বা ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরা বাজারে কমবে না বলে মনে করেন তিনি। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। এদিন সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের দৈনিক বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দর ১৫০-২৫০ টাকা; চ্যাঙ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৩২০-৫০০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, আড়তে তেমন মাছ আসছে না। অল্প পরিমাণে যা আসছে, অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আড়তদার কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আড়তে মাছ আসে। কিছু এলাকায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রচুর ঘের-পুকুর তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রচুর মাছ মারাও গেছে। ফলে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, এই এলাকায় খামারি নেই। ব্যবসায়ীরা পাবনা বা অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে ডিম কিনেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিমসহ সব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি চলছে জানিয়ে ইউএনও আক্তার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের সুঁইয়ের ফোঁড়ে ভাগ্য বদল

ঘাস কাটতে গিয়ে মিলল তরুণের অর্ধগলিত লাশ

                   

জনপ্রিয় সংবাদ