ফয়সাল হায়দার স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের মেঘনার শাখা জয়ন্তী নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হওয়া নারী ও শিশুর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তারা দুজন সম্পর্কে মা ও মেয়ে। ওই নারীর নাম তানিয়া আক্তার (৩০) ও শিশুটির নাম রাবেয়া আক্তার (৪)। তারা বরিশালের হিজলা উপজেলার ইন্দোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
নদীর পাড়ে ছিল নারী ও শিশুর মরদেহ।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলম।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে নিহত তানিয়ার বাবা দুলাল হাওলাদার বাদি হয়ে গোসাইরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
দুলাল হাওলাদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে মুঠোফোনে জানান, ২০২০ সালে বরিশালের হিজলা উপজেলার ইন্দোরিয়া এলাকার আব্দুর রহমানের সঙ্গে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকার তানিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ভিতর পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। এখন তাঁর মেয়ে ও নাতনিকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মশুরগাঁও এলাকার মেঘনা নদীর শাখা জয়ন্তী নদীর পাড়ে এক নারী ও এক শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। মরদেহ দুটি উদ্ধারের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা গোসাইরহাট থানায় এসে মরদেহ দুটির পরিচয় শনাক্ত করেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তানিয়া ও শিশু রাবেয়াকে হত্যা করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সম্পন্ন হলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় নিহত তানিয়ার স্বামী আব্দুর রহমান (৩৬), শ্বশুর ইউসুফ মাঝি (৬০) ও জয়নাল সাদির (৫৬) নাম উল্লেখ করে ১-২ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।