নাজমুল হোসেন সানা (পাইকগাছা,খুলনা)
পাইকগাছা উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মেছের আলী সানার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মৎস্য আড়ৎদারি মার্কেটের মৎস্য ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান। সোমবার দুপুরে মৎস্য আড়ৎদারি সমবায় সমিতি কার্যালয়ে ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান উপজেলা কৃষক দলের সভপতি মেছের আলী সানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাংচুর সহ বিভিন্ন হুমকির অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন গত ২১ মার্চ জৈনক ব্যক্তি আমার আড়ৎ এ মাছ খরিদ করতে আসে। এসময় দরদাম নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি ও তর্ক বির্তক হয়। পরে তিনি ব্যবসায়ী মিলনকে ডেকে এনে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গোলমাল করার চেষ্টা করে। এসময় আড়ৎদারি সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক এসে তাদের সাথে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। এরপর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মেছের আলী সানা মিমাংসিত বিষয়টি ভিন্ন ভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে। তিনি আমাকে বলেন ৫০ হাজার টাকা না দিলে তারা আমাকে মারপিট করবে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলে মেছের আমাকে ভয় দেখায়। ওইদিন রাতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নিষ্পত্তিকৃত বিষয়টি পুনরায় মিমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষ কে নিয়ে বসার জন্য আড়ৎদারি সমিতির সভাপতি কে বলেন। সে অনুযায়ী ২২ মার্চ সকাল ১০ টার সময় সমিতি কার্যালয়ে বসাবসির ব্যবস্থা করা হয়। সমিতির সভাপতি সম্পাদক সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যথাসময়ে উপস্থিত হলেও মেছের আলী সানা ও মিলন যথাসময়ে হাজির না হয়ে তালবাহানা করতে থাকে। পরে মেছের আলী ৩০-৩৫ টি মোটরসাইকেল যোগে দলীয় লোকজন নিয়ে আমার আড়ৎ এ এসে আমাকে খুজতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি বিএনপির নেতাদের সাথে নিয়ে আড়ৎদারি সমিতি কার্যালয়ে যায় এবং আমাদের মারপিট করতে উদ্যত হয়। মেছের আলী সানা ও তার লোকজন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও বন্ধ করে দেওয়া এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদান করায় শান্তি পূর্ণ ভাবে ব্যবসা করা কঠিন পড়েছে। ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান সাংবাদিক সম্মেলনের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসন ও বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য আড়ৎদারি সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার, সাধারণ সম্পাদক বেলাল মোড়ল, শওকত মোড়ল ও রিপন কুমার দাশ।