ক্রাইম রিপোর্টার
(পাইকগাছা খুলনা)
পাইকগাছায় জমির ডিড এবং লাভের টাকা আদায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন পাইকগাছা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত: ফসিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ মাশফিয়ার রহমান সবুজ।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের পুতলাখালী মৌজার প্রকৃত জমির মালিকদের নিকট হইতে রেজিস্টার ডিড ৭০০ বিঘাতে প্রয়াত আলহাজ্ব ফসিয়ার রহমান ৮০ দশক হতে প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ জমির মালিকদের সন সন হারী প্রদান পূর্বক মৎস্য লীজ ঘের পরিচালনা করে আসছিলেন। তার আলোচনায় রিফাত জমির মালিকরা সন্তুষ্ট ছিলেন। এতে করে মৎস্য লীজ ঘের আর জীবদ্দশায় অন্য কোথাও হস্তান্তর করেনি। অতপর, ফসিয়ার রহমানের মৃত্যুর পর উক্ত মৎস্য লীজ ঘের তার ছেলে মোঃ মাশফিয়ার রহমান সবুজ নিজে দায়িত্ব নিয়ে ঘের পরিচালনা শুরু করে। এমতাবস্থায় ফসিয়ার রহমানের শেষ ডিডের মেয়াদ শেষ হলে তার ছেলে মাশফিয়ার রহমান সবুজ গত ইং- ২৫/০২/২০১৮ তারিখ হতে ৩১/১২/২৪ পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য ১২২৪ নং এককেতা লীজ এগ্ৰিমেন্ট দলিল রেজিস্ট্রি করিয়া নেন। ডিড মিয়াদে তপসীল বর্ণিত ৭০০ বিঘা জমিতে ধান ও মাছ উভয় প্রকার ফসল উৎপন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে আসছিলেন।
পরবর্তীতে মাফিয়াদের অর্থের বিশেষ প্রয়োজন হওয়ার মৎস্য লীজ ঘের টি যোথ ব্যবসার জন্য দেলুটি ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্ৰামের মৃত নিরোধ বিহারী সরদারের ছেলে শিবপদ সরদারের গত ইং- ২৫/১০/২৩ তারিখ হতে ৩১/১২/২৪ পর্যন্ত পাটনার বানান। এসময় শিবপদ সরদার ঘেরের দায়িত্ব না নিয়ে তার ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি মূণাল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সত্য রঞ্জন কে ঘেরের দায়িত্ব অপর করে। তারা দুই ভাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু ও রশীদুজ্জামান মোড়লের ছত্রছায়ায় অত্র এলাকায় আওয়ামী লীগ বাহিনী গড়ে তোলে। ইং- ৩১/১২/২০২৩ তারিখ হতে মাশফিয়ার রহমান সবুজ লিজের বাসায় গেলে শিবপদ ও সত্য রঞ্জন তাকে হিসাব দিতে না রাজ হন। মাশফিয়ার রহমান সবুজ কারন জানতে চাইলে তারা বলে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু ও রশীদুজ্জামান মোড়লের কাছে হিসাব নিতে বলেন। এবং ওই সময় অস্ত্রের মুখে রেখে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল ৩ টা সাদা এস্টামে স্বাক্ষর করে নেন। এবং জীবন শেষ করে দেবার হুমকি দেন।
উক্ত, শিবপদ ও সত্য রঞ্জনের নিকট হতে ২০২৩ সাল ও ২০২৪ সালের হিসাব করে অর্ধেক অংশের ২০ লক্ষ টাকা আদায় এবং জমির মালিকদের নিকট থেকে পুনারায় ডিড গ্ৰহন করতে পারে সেজন্য সংবাদ সম্মেলন করে তিনি।