নাজমুল হোসেন সানা (পাইকগাছা,খুলনা)
পাইকগাছায় জোর করে গর্ভপাত করার সময় মা ও সন্তানের মৃত্যু। এ ঘটনায় পল্লি চিকিৎসক সহ ৪ জনের নামে হত্যা মামলা করেছে মৃতের ভাই সবুজ মন্ডল। পুলিশ আসামি পল্লি চিকিৎসক প্রকাশ চন্দ্র ঠাকুর কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিকে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান, উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুনকিয়া গ্রামের কুমুদ রজ্ঞন মল্লিকের ছেলে নারায়ন চন্দ্র মল্লিক(৪৫) বাগের হাট জেলার রামপাল উপজেলার সিংগার বুনিয়া গ্রামের গগন মন্ডলের মেয়ে সাথী মন্ডল(২২) কে ৭ বছর আগে বিবাহ করে। তাদের দুটি ছেলে স্তান রয়েছে। তার পরেও তার স্ত্রী গর্ভে আরো একটি ৭ মাসের সন্তান থাকলে তার স্বামী নারায়ন মল্লিক, মাতা স্বপ্না মল্লিক(৫০), ও পবিত্র মল্লিক(৪৫) সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তাদের কথা না শুনলে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। স্ত্রী সাথী মন্ডলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানার আকড়া গ্রামের পল্লি চিকিৎসক হেমন্ত রায়ের ছেলে প্রকাশ চন্দ্র ঠাকুর(৫০) গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য গত ৩ জানুয়ারী ঔষধ খাওয়ায়। মৃতের ভাই সবুজ মন্ডল জানান, সন্তান নষ্টের জন্য পল্লি চিকিৎসক আমার বোনকে ঔষধ খাওয়ানোর ফলে তার রক্ত খরন হতে থাকে। তার অবস্থা অবনতি ঘটলে ৪ জানুয়ারি ডাক্তার সহ সকল আসামিরা প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
তার অবস্থা আরো খারাপ হলে গত ৫ জানুয়ারি তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ৬ জানুয়ারি আমার বোনের মৃত্যু হয়। আমার বোনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সন্তান নষ্ট করার সময় পল্লি চিকিৎসক প্রকাশ ঠাকুর সহ সকল আসামিরা ঔষধ খাওয়া আমার বোন ও সন্তানকে মেরে ফেলে। পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সবজেল হোসেন জানান, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরকরে সন্তান নষ্ট করার সময় মা সন্তানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারী চিকিৎসক সহ চার জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। ওই রাতেই প্রধান আসামি পল্লি চিকিৎসককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।