প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ১৯, ২০২৫, ৩:০১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১১, ২০২৫, ৬:৫৭ পি.এম
পাইকগাছায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাড়িঘর পুড়ে ছায় হলেও অক্ষত রয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন।

নাজমুল হোসেন সানা (পাইকগাছা, খুলনা )
খুলনার পাইকগাছায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭ থেকে ৮ টি বসত ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ১০ ই মার্চ সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে শেখ কামরুল হাসান টিপুর পৌর সদরের ভাড়া দেওয়া কয়েকটি আবাসিক ঘরে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ঘর মালিক ও ভাড়াটিয়াদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহনাজ পারভিন বলেন আমি তখন রোজা এবং ইফতারির রান্না করছিলাম, হঠাৎ দেখি জানালা দিয়ে আমাদের ঘরে ধোঁয়া এবং আগুনের লেলিহান ঢুকছে। বাহিরে গিয়ে দেখি পাশের ঘরবাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
প্রতিবেশী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে পাইপ দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি, এসময় বিদ্যুৎ চলে গেলে ছাদের রিজার্ভ ট্যাংকির পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। আগুনে আমার দোতলা বাড়ির দুটি জানালা এবং টাইলস এর ক্ষতি হয়েছে। হুরায়রা বাদশা বলেন খবর পেয়ে বাজার এবং আশেপাশের শত শত মানুষ ছুটে এসে মধুমিতা পার্কের পুকুরের পানি দিয়ে আধা ঘণ্টা চেষ্টা করার পর আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
শেষ পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন আমাদের এখানে ফায়ার স্টেশন থাকলে অনেক আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।ভাড়াটিয়া চা বিক্রেতা চৈতন্য বলেন আমি তখন দোকানে ছিলাম। দোকান থেকে এসে দেখি আগুনে ঘরবাড়ি, গাছপালা সহ সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া আগুন পুরোপুরি নিভানোর পর ঘরমালিকরা ময়লা অপসারণের সময় দেখতে পান পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। যেখনে আগুনের লেলিহান শিখায় সব পুড়ে শেষ সেখানে কেবলমাত্র অক্ষত অবস্থায় হয়েছে আল কোরআন।
আমার আর অবশিষ্ট কিছুই নাই। আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন কি করবো, পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবো কিছুই জানিনা। পরিবার নিয়ে সহায় সম্বলহীন হয়ে গেলাম। এদিকে বিদ্যুতের শর্ক সার্কিট অথবা রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন অনেকে।
Copyright © 2025 cetonaibangladesh.news. All rights reserved.