নাজমুল হোসেন সানা (পাইকগাছা,খুলনা)
পাইকগাছায় মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি সহ নানা অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল এক পরিবারের বিরুদ্ধে। পরিবারটি মসজিদের কাজে বাঁধা প্রদান, পবিত্রতা নষ্ট, ও ভাংচুর সহ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এলাকাবাসী কে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের গোপালপুর গ্রামের গোপালপুর বায়তুন নুর জামে মসজিদের জমি নিয়ে মসজিদ সংলগ্ন পুলিশ কনস্টেবল মহাসিনের মধ্যে এ বিরোধ তৈরী হয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি শিক্ষক এসএম আমিনুর রহমান লিটু বলেন আমরা এলাকাবাসী ২০০৫ সালে ৯ শতক জমির উপর মসজিদ নির্মাণ করে মসজিদটিতে শান্তি পূর্ণ পরিবেশে দীর্ঘদিন নামাজ আদায় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় মসজিদের পাশের প্রতিবেশী পুলিশ কনস্টেবল মহাসিন সরদার বিরোধ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করে আসছে। সভাপতি লিটু অভিযোগ করেন মহাসিন এর স্ত্রী মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করা সহ মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদান, বাথরুম ও ওযুখানা ভাংচুর এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এলাকাবাসী কে হয়রানি করছে। মঙ্গলবার সকালে মহাসিনের স্ত্রীর থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগের তদন্তে সরেজমিন আসেন থানার এসআই আনিসুর রহমান। সকাল সাড়ে ১০ টায় তদন্ত কর্মকর্তা সহ এলাকার সূধীজন অনেকেই উপস্থিত হলেও বাদি তার পক্ষের কেউ সেখানে উপস্থিত হয়নি। এসময় উপস্থিত এলাকাবাসী পুলিশ কনস্টেবল ও পরিবারের ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ করেন এবং হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার দাবি জানান। কেউ হাজির না থাকায় তদন্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মুঠো ফোনে কনস্টেবল মহাসিন এর সাথে কথা বলে দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে বলে এলাকাবাসী কে আশ্বস্ত করেন। এ বিষয় মহাসিন জানান, আমার জমিতে মসজিদ নির্মান করেছে। এসময় জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল মজিদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল হোসেন, গদাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইকবল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আহম্মদ আলী, প্রাক্তন শিক্ষক মঈনুদ্দিন দফাদার সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।