ক্রাইম রিপোর্টার (পাইকগাছা খুলনা)
পাইকগাছায় শেষ পর্যন্ত গ্রাম্য বৈঠকে বিবাদমান কাকা-ভাইপো পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটলো। জমি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের
নিষ্পত্তির ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের ঘোষখালী নদীঘেষা হোগলারচকে'র দশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও গড়ইখালী ইউপি'র প্যানেল চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শরৎ চন্দ্র মন্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য আঃ হান্নান গাজী ও শাহাবুুদ্দীন গাইন, অবঃ শিক্ষক সুবোল মন্ডল, প্রভাষক প্রদীপ মন্ডল, জহীর রায়হান,সুলতান মাহমুদ,বাবু বিহারী,জনি গাইন,রানা মোড়ল,সুধীর মন্ডল, শফি শেখ, অনীল মন্ডল, অরুন মন্ডল, মলয় মন্ডল ও বিবাদমান সমরেশ মন্ডল ও তার ভাইপো মধুসূদন মন্ডলসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
জানাগেছে, হোগলারচকের মৃতঃ মঙ্গল মন্ডলের ছেলে সমরেশ মন্ডল ও তার ভাই মৃতঃ শচীন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে মধুসূদন মন্ডল পরিবারের মধ্যে ভিটেবাড়ী ও সরকারি ভিপি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় ভাবে বহুবার বসাবসি হলেও কোন সমাধান হয়নি।
এক পর্যায়ে চলতি আমন মৌসুমে হামলা-মামলার ঘটনা ঘটে। দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তোলেন।
মারপিটের ঘটনায় কাকা সমরেশ মন্ডল মন্ডল বাদী হয়ে ভাইপো মধুসূদন মন্ডল, দীপু/ সুমন,মলয়সহ অনেকের বিরুদ্ধে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর-১২৩৫/২৪ মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে ভাইপো মধুসূদন মন্ডলও বাদী হয়ে কাকা সমরেশ মন্ডল, প্যানেল চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র মন্ডল, প্রভাষক প্রদীপ মন্ডলসহ অনেকের নামে একই আদালতে সিআর-১২৫২/২৪ মামলা করেন।
সুত্র জানান, দুটি মামলা আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক থানা পুলিশ'কে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। দুটি মামলা বাইনবাড়ীয়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই আহাদ আহম্মেদ তদন্ত করছেন বলে জানাগেছে।
সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে দুটি মামলার সৃষ্টি। দু' মামলাতেই নিরীহ ব্যক্তি, সালিশদ্বার, জনপ্রতিনিধি,কলেজ শিক্ষক, দিনমজুরসহ ছাত্রদেরও জড়ানো হয়েছে।
তবে গতকালের সালিশী বৈঠকে নিষ্পত্তি শেষে সমরেশ মন্ডল ও তার ভাইপো মধুসূদন মন্ডলসহ অন্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বিরোধীয় জমি পরস্পর ভাগ করে সালিশদ্বারদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।