প্রতিনিধি 22 July 2025 , 10:45:25 প্রিন্ট সংস্করণ
পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ২২১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) পাকিস্তানের সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতজনিত দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।এনডিএমএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাণহানির প্রধান কারণ বৃষ্টিপাতের ফলে জমা পানিতে বিদ্যুৎ প্রবাহ। আকস্মিক বন্যাও প্রাণহানির আরেকটি কারণ।চলতি বর্ষা মৌসুমে পাকিস্তানের সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবে ১৩৫ জন নিহত ও ৪৭০ জন আহত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ৪৬ জন নিহত ও ৬৯ জন আহত হয়েছে।দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে ২২ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছে, অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে ১৬ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে।
এনডিএমএ উত্তরাঞ্চলের গিলগিট-বালতিস্তানে কোনো মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি, যদিও তিনজন আহত হয়েছে। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একজনের মৃত্যু ও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী ইসলামাবাদে এক শিশু আহত হয়েছে।পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী দিনে আরো ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে এবং বাসিন্দাদের, বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এনডিএমএ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।পাকিস্তানে প্রতিবছরের মতো এবারও জুন-সেপ্টেম্বর সময়কালে মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। ২৪ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার এই দেশটি চরম আবহাওয়ার ধাক্কায় প্রায়ই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে গিয়েছিল। সে সময় ১ হাজার ৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এখনো অনেক এলাকা সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।।