পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা দমন-পীড়নের প্রতিবাদে লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

এস চাঙমা সত্যজিৎ

বিশেষ সংবাদদাতাঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা অভিযানের নামে দমন-পীড়ন, বাড়িঘরে তল্লাশি, নারীদের সাথে অসদাচরণ, লুটপাট ও স্কুল ভবন দখলের প্রতিবাদে লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন, লক্ষীছড়ি থানা শাখা।

আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টায় উপজেলার যতীন্দ্র কার্বারি পাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মরাচেঙ্গী মুখপাড়া ঘুরে পূনরায় যতীন্দ্র কার্বারি পাড়ায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ শতাধিক ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা সেনা নিপীড়ন বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিসিপি লক্ষীছড়ি থানা শাখার সভাপতি জয়সেন চাকমা এবং সঞ্চালনা করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন লক্ষীছড়ি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক এলি চাকমা।

বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কুনেন্টু চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক মনিকা চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি ক্যামেরন দেওয়ান।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে আংশিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে আগের মতোই সেনাশাসন চলছে। ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার পর থেকে রদমন-পীড়নের মাত্রা আরও বেশি বেড়েছে।

তারা বলেন, সেনা সদস্যরা নির্বিচারে বাড়িঘরে ঢুকে টাকা-পয়সা, দলিলপত্র লুট করছে, জিনিসপত্র তছনছ করছে এবং স্কুল ভবন দখল করে অস্থায়ী ক্যাম্প বানানোর কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সেনা অভিযানের সময় নারীরা যৌন হয়রানি ও আতঙ্কের শিকার হচ্ছেন।

বক্তারা আরও বলেন, সেনারা অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে সাধারণ মানুষকে আটক ও নির্যাতন করছে, অথচ আসল সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। সেনা অভিযানের নামে জনগণকে আতঙ্কে রাখা হচ্ছে।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাহাড়ি জনগণ আর দমন-পীড়ন মেনে নেবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।