কয়েক ঘণ্টার টানা ভারী বর্ষণে শেরপুর জেলার সবক’টি নদ-নদীর পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টির প্রভাবে জেলার পাহাড়ি নদ-নদীতে ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলার কয়েকটি গ্রামে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও ভোগাই নদীর নাকুগাঁও এবং নালিতাবাড়ী পয়েন্টে পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তবে রাতের কোনো একসময় চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও ভোররাতে তা কিছুটা কমে যায়। কিন্তু সকাল থেকে আবারও নদীটিতে পানির চাপ বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, টানা বৃষ্টির কারণে চেল্লাখালী নদীর বিভিন্ন বাঁধ যেকোনো সময় ভেঙে আশপাশের গ্রামগুলোকে প্লাবিত করতে পারে। বিশেষ করে চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর ফলে এসব বাঁধ এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
মহারশি নদীর পারবর্তী এলাকাও বন্যার সম্ভাব্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ, গত অক্টোবরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভোগাই, চেল্লাখালী ও মহারশি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোর সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগাম বন্যার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন আকস্মিক বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।