নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ
বিশ্বাস, নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর অদৃশ্য ভালোবাসা—এই চারটি শব্দ যদি একত্রে কাউকে বোঝায়, তবে নিঃসন্দেহে তার নাম হতে পারে মতিন গাজী। যিনি আজ থেকে শুধুই একজন কর্মকর্তা নন, তিনি এখন “দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ” পত্রিকার বার্তা সম্পাদক—সংবাদযাত্রার অন্যতম চালিকাশক্তি।
এই সংবাদ শুধু একটি পদোন্নতির খবর নয়। এটি হলো এক সাহসী স্বীকৃতি—একজন মানুষকে, যিনি দিনের আলো ও রাতের নিঃশব্দতাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে একটি পত্রিকার ভিত রচনা করেছেন নিরবে, নিষ্ঠায়।
শুরুটা হয়েছিল কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে, হৃদয়ে স্বপ্ন নিয়ে
২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি যখন ‘দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ’-এর প্রথম ধাপ গঠিত হয়, তখন থেকেই মতিন গাজী ছিলেন এই স্বপ্নযাত্রার একজন নিরলস সৈনিক। অপারেশন অফিসার হিসেবে তাঁর কাঁধে ছিল সিস্টেম, শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও মানবিক নেতৃত্বের দায়িত্ব।
কিন্তু মতিন গাজী শুধু একটি বিভাগেই থেমে থাকেননি। তিনি নিউজরুমে এসে সম্পাদনায় অংশ নিয়েছেন, সংবাদ মূল্যায়নে মত দিয়েছেন, প্রতিবেদকদের গাইড করেছেন, গভীর রাতে পাতা সাজাতে সহযোগিতা করেছেন। যেন তিনি একাই একটি প্রতিষ্ঠান—নেপথ্যের অদৃশ্য ছায়া।
একজন কর্মীর নয়, একজন সৈনিকের পথচলা
যেখানে অনেকে পদ চায়, তিনি সেখানে দায়িত্ব খুঁজেছেন।
যেখানে অনেকে নাম খুঁজে বেড়ায়, তিনি নেমেছেন চুপচাপ দায়িত্বের সাগরে।
আজ যখন তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো, তখন সেটি কেবল একটি ঘোষণামাত্র নয়—এটি একটি সময়ের দাবির জবাব। চেতনায় বাংলাদেশ”-এর চেয়ারম্যান কে.এম. মোজাপ্ফার হুসাইন বলেন—
“মতিন গাজী এই প্রতিষ্ঠানের একজন ‘ওয়ার মেশিন’। দায়িত্বে তাঁর কখনো ক্লান্তি নেই, দায়িত্বের বাইরে তিনি কখনো যাননি। আমি গর্বিত আজ তাঁকে এই পদে আনতে পেরে। তিনি শুধু সম্পাদক নন, তিনি একজন আদর্শ। ভবিষ্যতের চেতনার নতুন রূপকার নিজের প্রতিক্রিয়ায় মতিন গাজী বলেন—
“এই দায়িত্ব আমার কাছে যুদ্ধের নতুন ময়দান। আমি প্রতিটি সংবাদকে দেখবো দেশের চেতনাপূর্ণ চোখে। সম্পাদক হিসেবে নয়, একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করবো, যেন ‘দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ’ সত্য, সাহস ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন—
“আমার লক্ষ্য থাকবে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, তরুণ সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণ, ভাষার সৌন্দর্য রক্ষা এবং জনগণের আস্থা অর্জন। বার্তা বিভাগ হবে পত্রিকার সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, দ্রুততম এবং পাঠকের ভাবনার সঙ্গে মেলানো অংশ।
একটি সম্পাদনা বিভাগের নতুন দিগন্ত মতিন গাজীর হাত ধরে “চেতনায় বাংলাদেশ”-এর বার্তা বিভাগ পাচ্ছে নতুন প্রাণ। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে আরও সংগঠিত, প্রযুক্তিনির্ভর ও পাঠকমুখী সংবাদ কাঠামো। তাঁর সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, তাঁর মতো নেতৃত্বে কাজ করাটা এক ধরনের আত্মবিশ্বাস।
সাংবাদিকতা এখন শুধু খবর প্রকাশ নয়, এটি বিশ্বাসের প্রসার। মতিন গাজী সেই বিশ্বাসের ধারক হয়ে উঠে এসেছেন অনন্য উদাহরণ হয়ে।
চেতনার বার্তা সম্পাদক এখন কেবল একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নন—তিনি হয়ে উঠছেন একটি সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক। মতিন গাজীর পদোন্নতি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যোগ্যতা চাপা থাকলেও একদিন আলোয় আসবেই।
আজ “দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ”-এর খবর শুধু অন্যদের নিয়ে নয়,
আজ এই সংবাদ কাগজের নিজস্ব গল্প, নিজস্ব সাহস,
আর এক নিরব বীরের প্রকাশ্য গৌরব।