জি এম ফিরোজ উদ্দিন, মণিরামপুর প্রতিনিধি :
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন,ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল,ডালে ডালে পুষ্তিত আম্রমুকুল।ভরা ফাল্গুুনে এখন আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে প্রায় সকল আম গাছ।আমের বনের ঘ্রাণে মাতাল সবাই।তবে এবার কবির কবিতার লাইনের মতো ফাল্গুনে নয় পৌষের শেষের দিকে শীতেরই আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে মণিরামপুরের মনোহরপুরে। ডাল ভরিয়ে দিয়েছে মুকুলে মুকুলে।আম মুকুলের সোনালি রং নজর কেড়েছে সবার।
পৌষের শেষের দিকে গাছের ডাল ভরিয়ে দিয়েছে থোকা থোকা মুকুল।মনে হয় কিছু দিনের মধ্যেই গাছে গাছে মৌমাছির গুজন আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে প্রকৃতিতে সৃষ্টি হবে নদুন ছন্দের। কয়েক মাসের মধ্যেই গাছের ডালে ডালে ঝুলবে নানা রঙ্গের নানান জাতের আম।উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারঘাটা,কপালিয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়,গাছে আগাম আমের মুকুল ছেয়ে গেছে। সাধারণত মাঘের শেষের দিকে অথবা ফাল্গুনের শুরুতে আম গাছে মুকুল আসে।সেখানে আগাম এ মুকুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন মানুষ।
মনোহরপুর ও খাকুন্দী গ্রামের,মো মাজিদ গাজি ও মো রফিক বলেন, আম গাছে মুকুল এসেছে। এখন তারা আম গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত।তারা আরো বলেন,অনেক আম গাছে মুকুল ভরে গেছে আবার কোন কোন আম গাছে ছোট ছোট মুকুল উকি দিচ্ছে।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে হালকা হালকা কুয়াশা আর শীত কি হবে তা তো বলা যাচ্ছে না।কৃষি কর্মকর্তা জসিম পারভেজ বলেন, পৌষের শেষের দিকে কিছু আগাম আম জাত গুলোর মুকুল বের হয়েছে।এখনই যে সব গাছে মুকুল এসেছে সে সব গাছে অধিক ফলনের জন্য আমগাছ মালিকদের পরার্মশ দেয়া হচ্ছে। সাধারনত মাঘের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে আমের মুকুল আসে। আগাম জাতের আমের মুকুল সঠিক ভাবে ব্যবস্সাপনার মাধ্যমে ফলে পরিনত করতে পারলে আমগাছের মালিকরা অধিক লাভবান হবেন।তিনি আরো জানান,আগামী কিছু দিনের মধ্যে প্রায় সকল গাছে ই মুকুল আসতে শুরু করবে।