পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার প্রতিটি খাল বিল, নদী নালায় নিষিদ্ধ জাল পেতে মাছ ধরার যেন মহাউৎসব চলছে ফলে হারিয়ে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিরব ভুমিকা জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে মৎস অফিসের লোকজন ম্যানেজ করেই এরকম অবৈধ জাল পেতে মাছ শিকারের মহাউৎসব চলে। মৎস অফিসের লোকজন কে বারবার জানানোর পরেও লোক দেখানো ২/১টা অভিযান পরিচালনা করলেও অবৈধ জাল উচ্ছেদ এ তেমন কোন ভুমিকা রাখছেনা। উপজেলার নলদোয়ানী খাল, বুদাই খাল, তক্তাখালী খাল ভাড়ানী খাল, গোদার খাল, হোতার খাল মোল্লাখালী খাল, বাদ্দার খাল, কচ্ছপিয়ার খাল, গাবতলির খাল, দাসপারা খাল, কদমতলার খাল, পিছাখালির খাল, জামলার খাল, কোহারজোর খাল সহ অন্তত ২৬ টি খাল, সব কয়টি বিল ও নালায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল এবং চায়না রিং জালের অবাধ ব্যবহারে দেশীয় মাছগুলো দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।
লেবুখালী ইউনিয়ন মৎসজীবি দলের সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ কে বলেন পায়রা নদী থেকে লেবুখালী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ভাড়ানী খালটিতে অবৈধ বেহুন্দি জাল ফালিয়ে অবাধে মাছ শিকার করে চলছে। মৎস অফিসকে জানালেও কোন রকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে দেশীয় মাছের সংকট এখন প্রকট। এই সংকটের মূল কারণ হিসেবে খোজ নিয়ে জানাজায় অবৈধ জালের অবাধ ব্যবহার। বর্ষা শুরু হতেই এসব জালের মাধ্যমে ডিম ছাড়ার আগেই পোনা মাছ নির্বিচারে ধরা হচ্ছে, ফলে প্রাকৃতিক প্রজনন চক্র ভয়াবহভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, উপজেলার নতুন বাজার,পীরতলা বাজার, বোর্ড অফিস বাজারসহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে এসব নিষিদ্ধ জাল প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। এতে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে।
বর্ষায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসাধু ব্যক্তি ও চক্রগুলো শুধু নিষিদ্ধ জালই নয়, ব্যক্তিগতভাবে দখলের ফলে শুধু মাছ নয়, জলজ সাপ, ব্যাঙ, শামুক ও নানা জলজ প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হচ্ছে।
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান চালামান আছে। সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন, এ অভিযান চালামান থাকবে