নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে।
জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টার কিছু আগে ১৫-২০ জনের একটি দল একটি গরু নিয়ে প্রথম আলোর সামনে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। বেলা আড়াইটার দিকে তারা আবার প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায়। এরপর তারা কারওয়ান বাজারের ভেতরের প্রধান সড়কে বসে পড়ে এবং সেখানে একটি গরু জবাই করে। এরপর থেমে থেমে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। সন্ধ্যা নাগাদ বিশৃঙ্খলাকারীদের সংখ্যা বেড়ে ৫০-৬০ জনে দাঁড়ায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা দফায় দফায় ওই ব্যক্তিদের সরে যাওয়ার অন্য অনুরোধ করেন। এরপরও তারা রাস্তা থেকে সরেনি। সন্ধ্যায় সারা দেশ থেকে কারওয়ান বাজারে সবজিসহ নিত্যপণ্যবাহী গাড়ি আসার সময় হলে পুলিশ তাদের সরে যেতে সময় বেঁধে দেয়। এ সময় ওই ব্যক্তিরা আরও উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে। তখন পুরো কারওয়ান বাজারে একধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়। ব্যবসায়ীদের অনেকে দোকান বন্ধ করে দেন। মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজারে প্রবেশের অংশের ফটকও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে তাদের সরানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে কয়েকজন ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিকে লাঠিপেটা করে। কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ইসরাইল হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যার পর প্রথম আলো অফিসের সামনে একটি ঝামেলা হয়েছিল। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।