আসাদুজ্জামান রিয়াদ, চিলমারী (কুড়িগ্রাম):
নিয়মের তোয়াক্কা না করে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপি মহিলা নেত্রী জেয়ারা খাতুন রুজির নির্দেশে চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্থাপিত পশুর হাট এখনো সরানো হয়নি। প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনুমতি না নিয়ে উপজেলার চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসানো হচ্ছে।
হাটের ইজারা পেয়েছেন ওহেদ-রানা। তার বাড়ি কুড়িগ্রামে। তবে তার কাছ থেকে তা চালাচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এই বিএনপি নেত্রী জেয়ারা খাতুন রুজি উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক। জানা গেছে, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন।
দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্যালয় মাঠে এ বাজার বসানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে খুঁটিতে সারি সারি গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে অনেক জায়গায় বাঁশের খুঁটি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া স্কুলের সামনে মাটিকাটা-হরিপুর সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পথচারীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান সাজু বলেন, আমার শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কথা আমার চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে তাই আমি এলাকাবাসীর সঙ্গে কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না এবং ইউএনও স্যার চাইলে হাটটির একটি ব্যবস্থা নিতে পারেন।
হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিএনপি নেত্রী জেয়ারা খাতুন রুজি বলেন, হাট বাজারের জন্য একটি নীতিমালা রয়েছে, সেই নীতিমালায় বলা হয়েছে জনস্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এবং এলাকার স্বার্থে, জনগণ প্রয়োজন মনে করলে এখানে ঈদের হাট নেওয়া ঠিক হবে, আরও কিছু বন্যাকেন্দ্র, কিছু আশ্রয়কেন্দ্র, দুঃসময়ে জনস্বার্থে, জনস্বার্থে এসব করা যেতে পারে। আমরা সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইউএনও সবুজ কুমার বসাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ে মার্কেট স্থাপন নিষিদ্ধ এবং যারাই এটি স্থাপন বা আয়োজন করবে তাকে দায়ী করা হবে।