প্রতিনিধি 4 September 2025 , 2:40:57 প্রিন্ট সংস্করণ
প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ব্যবসায়িক উদ্যোগের ধারণা দিলে একজন উদ্যোক্তা পুরস্কার পাবেন ১ লাখ টাকা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনে (এসএমই ফাউন্ডেশন) ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ইউনিডো এই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এতে সহায়তা করছে নরওয়ে দূতাবাস। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী উদ্যোক্তাদের মোট ৫৪ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলনকক্ষে ‘প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারের এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে সারা দেশ থেকে আবেদনকারী উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে নারী, শিক্ষার্থী, গবেষক, বেসরকারি সংস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনকে নির্বাচিত করে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। নির্বাচিত উদ্যোক্তারা প্রশিক্ষণ শেষে জুরিবোর্ডের কাছে তাঁদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। এরপর সাতজন উদ্যোক্তাকে ২ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত পাঁচজন উদ্যোক্তাকে ৩ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য এই লিংকে আবেদন করা যাবে।
এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ শতাংশের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই)। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে। এই খাতে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত আছে।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজিম হাসান সাত্তার ও ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আবদুস সালাম সরদার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউনিডো বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাবে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের প্রতিবেদনের হিসাবে দেশে বছরে ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে পুনর্ব্যবহার হয় ৩১ শতাংশ। ঢাকায় প্রতিদিন ৬৪৬ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যা পুরো দেশের শতকরা ১০ ভাগ। পুনর্ব্যবহার হয় শতকরা মাত্র ৩৭ ভাগ। সরকারের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।