অন্যান্য

বদলগাছীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিনামূল্যে বই বিতরনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

  প্রতিনিধি 2 January 2025 , 2:50:49 প্রিন্ট সংস্করণ

 

 

সুবাস চন্দ্র,বদলগাছী প্রতিনিধি(নওগাঁ):

 

 

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিতরণের সময় ৩৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে মোট সাত হাজার দুই শত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। টাকা না দেওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী এখনো নতুন বই পায় নি। তবে প্রধান শিক্ষকের দাবি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে এটি স্কুলের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হবে। পরে তাদের নতুন বই দেওয়া হয়েছে। বইয়ের জন্য কোনও টাকা নেয়া হয়নি।

 

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে এলাকাবাসী এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জড়ো হয়েছেন।

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক জানুয়ারি বই দেওয়ার নামে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাঁচ-সাতজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, প্রধান শিক্ষক ২০০ টাকা করে নিয়ে নতুন বই দিয়েছেন। কোনও রশিদ দেননি। তারা প্রথম দিন বই নিতে এলে টাকা না দেওয়ায় তাদের বই দেওয়া হয়নি।

 

 

বিদ্যালয়ের সবুজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীরা এক জানুয়ারি নতুন বই পেয়ে আনন্দ করেছে। অন্যদিকে বিষ্ণুপুর সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিছু শিক্ষার্থী এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সরকার বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক লিলি টাকা ছাড়া বই দিচ্ছেন না।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক লিলি পারভিন বলেন, ৩৬ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। নতুন বইয়ের জন্য কোনও টাকা নেয়া হয়নি। বই উৎসব পালন করেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই দিয়েছি। তাছাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে এই টাকা নেওয়া হয়েছে।

 

 

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন্দ ও অরণ্যের সাথে কথা হলে তারা বলেন,বই দেওয়ার দিন মেড্যাম ২০০ টাকা নিয়ে আসতে বলছিলো। তাই ২০০ টাকা করে দিয়ে বই নিয়ে গেছি।

 

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আমিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের বই দিচ্ছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সরকারি বই বিতরণ নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনও রকম অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো মিজানুর রহমান কে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করার। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ