জামাল কাড়াল বরিশাল
রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি সাইদুর রহমান রিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত রিন্টু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠ, তিনি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রাতে খিলগাঁও তিলপাপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, রিন্টুকে হত্যা মামলার গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
আজ সোমবার রিন্টুকে আদালতে পাঠানো হবে। অপরদিকে, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র ঘনিষ্টজন এবং বরিশাল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তোরেজোড়েই ছিলেন সাইদুর রহমান রিন্টু।
তার বিরুদ্ধে সাবেক স্বররাষ্ট্রমন্ত্রীর আত্বীয় পরিচয় দিয়ে অনেক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগও রয়েছে রিন্টুর বিরুদ্ধে।
বরিশালে বিলাসবহুল লঞ্চের মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু মেরে দিয়েছেন সাবেক জনন্দিত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সুন্দরবন নেভিগেশন গ্রুপের অংশিদ্বারিত্ব।
এক সময়ের ইলেকট্রনিক্স হকার থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া সাইদুর রহমান রিন্টুর বিরুদ্ধে কথা বললেই সাবেক সররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রভাবে অনেক মানুষকেই জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।শুধু তাই নয় বরিশাল পুলিশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও ছিলো সাইদুর রহমান রিন্টুর কালো থাবা। ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে সর্বস্তরেই ভাগার টাকা পেয়ে যেতো রিন্টু।শুধু ভাগার টাকাতেই থেমে থাকেনি, রয়েছেন বদলি বানিজ্যের অভিযোগও। বরিশাল পুলিশের কাগজে কলমে টেন্ডার দিয়েই কাজ ভাগিয়ে নিতেন ভাইদের নামে।
বরিশালে নিজের নামেই নয়, তার ভাইদের নামেও রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।